ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ০৩ জুলাই ২০২৫, ১৯ আষাঢ় ১৪৩২

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডে ব্যাপক দুর্নীতি ও হয়রানির অভিযোগ: ঘুষের বিনিময়ে কর ফাঁকি

প্রকাশিত: ১৫:৫০, ৩ জুলাই ২০২৫; আপডেট: ১৫:৫০, ৩ জুলাই ২০২৫

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডে ব্যাপক দুর্নীতি ও হয়রানির অভিযোগ: ঘুষের বিনিময়ে কর ফাঁকি

ছবি: সংগৃহীত

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের কতিপয় অসাধু সদস্য ও কর্মকর্তাগণ কর ও শুল্ক আদায়ের ক্ষেত্রে মোটা অংকের ঘুষের বিনিময়ে কর দাতাদের কর ফাঁকি দেওয়ার সুযোগ করে দিচ্ছেন এবং বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের মালিক ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের কর্মকর্তাগণ নিজেরা লাভবান হওয়ার জন্য নির্ধারিত পরিমাণ কর আদায় না করে তাদের করের পরিমাণ কমিয়ে দিতেন মর্মে অভিযোগ পাওয়া গিয়েছে। এক্ষেত্রে, প্রতি বছর সরকার বিপুল পরিমাণ রাজস্ব প্রাপ্তি থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। কিছু ক্ষেত্রে কর্মকর্তাগণ ঘুষ না পেয়ে কর ফাঁকি দেওয়ার মিথ্যা মামলা করে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান মালিককে হয়রানি করেন মর্মে জানা যায়।

অনেক করদাতা আগাম কর দেন। আবার কেউ কেউ বেশি কর দেন। নিয়ম হচ্ছে এই কর হিসাবনিকাশ করার পর বেশি দেওয়া হলে তা ওই করদাতাকে ফেরত দিতে হয়। কিন্তু তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ আর সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের অভিযোগ থেকে জানা যায়, করের বাড়তি টাকা ফেরত পেতে আরো অন্তত অর্ধেক টাকা ঘুষ বা উপহারে খরচ হয়। অভিযোগ রয়েছে, দায়িত্বপ্রাপ্ত কর কর্মকর্তারা করের টাকা ফেরত দিতে নিজেরাও হাতিয়ে নিচ্ছেন মোটা টাকা।

অনুরূপভাবে, বিগত কয়েক বছর ধরে বিভিন্ন স্টেশনে চাকুরিকালীন বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে শুল্ক, ভ্যাট ও ক্ষেত্র বিশেষে আয়কর ফাঁকির সুযোগ করে দিয়ে ও নিজে লাভবান হয়ে রাষ্ট্রকে ক্ষতিগ্রস্ত করার মাধ্যমে দুর্নীত, স্বজনপ্রীতি ও অনিয়মের মাধ্যমে জ্ঞাত আয় বহির্ভূত অবৈধ সম্পদ অর্জন করেছেন এমন অভিযোগের প্রেক্ষিতে (১) জনাব কাজী মোহাম্মদ জিয়াউদ্দিন,কমিশনার কাস্টমস এক্সাইজ অ্যান্ড ভ্যাট, ঢাকা পূর্ব, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (২)জনাব মোঃ কামরুজ্জামান, কমিশনার, বেনাপোল স্থল বন্দর, (৩) জনাব মো: মামুন মিয়া, উপ কর কমিশনার,সার্কেল ৭,  রাজশাহী (৪)জনাব সেহেলা সিদ্দিকা, অতিরিক্ত কর কমিশনার, আয়কর গোয়েন্দা ইউনিট (৫)  জনাব লোকমান আহমেদ, কর পরিদর্শক, কর অঞ্চল-২, ঢাকা-এর বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন কর্তৃক তথ্যানুসন্ধান কার্যক্রম চলমান রয়েছে।

সাব্বির

×