ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৯ মে ২০২৫, ১৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

দেশের সাবেক প্রধান বিচারপতি এস.কে. সিনহাও তার লেখা বইতে স্বীকার করেছেন, জামায়াতের কোনো নেতা রাজাকার ছিলেন না: ড. মাসুদ

প্রকাশিত: ০২:২৪, ২৮ মে ২০২৫; আপডেট: ০৩:০৪, ২৮ মে ২০২৫

দেশের সাবেক প্রধান বিচারপতি এস.কে. সিনহাও তার লেখা বইতে স্বীকার করেছেন, জামায়াতের কোনো নেতা রাজাকার ছিলেন না: ড. মাসুদ

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদের সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সেক্রেটারি ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ বলেছেন, নির্বাচনের রোডম্যাপের জন্য যারা হতাশ; তারা সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি, লুটপাটে হতাশ নয়। এমনকি নিজ দলের নেতাকর্মীরা একে-অপরকে হত্যা করছে, সেটাও দেখেও তারা হতাশ হয় না।

মঙ্গলবার (২৭ মে) মেডিকেল টেকনোলজিস্ট ফোরাম ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সক্রিয় সহযোগী সদস্য সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

এ সময় তিনি আরও বলেন, শুধু একটি নির্বাচন দিয়েই গণতন্ত্র উদ্ধার হয়ে যায় না, গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা হয় না। গণতন্ত্রের জন্য গণতান্ত্রিক ধারা অনুযায়ী রাজনীতি করতে হবে। চাঁদাবাজি, সন্ত্রাস লালন-পালন পরিহার করতে হবে। যারা নির্বাচন দিয়ে গণতন্ত্র উদ্ধার করতে চায় বলে দাবি করে, তারা আসলে সত্যিকারের গণতন্ত্র বোঝে না। গণতন্ত্রের নামে তারা স্বৈরতন্ত্রে লিপ্ত। যারা নিজেরা নিজেদের নেতাকর্মীদের হত্যা করে, তারা কখনোই জাতির প্রত্যাশা পূরণ করতে পারবে না। তারা ক্ষমতায় বসে সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি, দুর্নীতি, অর্থ পাচার ও নৈরাজ্যের মাধ্যমে বাংলাদেশে আবারও ফ্যাসিবাদ কায়েম করবে। ইতোমধ্যে তাদের কারও কারও কর্মকাণ্ডে জনগণ আতঙ্কিত ও শঙ্কিত।

তিনি আরও বলেন, মজলুম জননেতা মাওলানা এটিএম আজহারুল ইসলামের আপিল আদেশের মাধ্যমে প্রমাণ হয়েছে, জামায়াতে ইসলামকে নেতৃত্বশূন্য করতে দলের শীর্ষ নেতৃবৃন্দকে আওয়ামী লীগের মানবতাবিরোধী অপরাধের নামে সাজানো মামলায় ফরমায়েশি রায়ে বিচারিক হত্যা করা হয়েছে। যেখানে দেশের সর্বোচ্চ আদালত আজ স্বীকার করেছে, ঐ বিচারের মাধ্যমে ন্যায়ভ্রষ্টতা ঘটেছে। এমনকি দেশের সাবেক প্রধান বিচারপতি এস.কে. সিনহাও তার লেখা বইতে স্বীকার করেছেন, জামায়াতের কোনো নেতা মানবতাবিরোধী অপরাধে জড়িত ছিলেন না, কেউ রাজাকার ছিলেন না। জামায়াত নেতাদের পরিকল্পিতভাবে হত্যার উদ্দেশ্যে সেই বিচার করা হয়েছে।

রিফাত

×