
ছবি: সংগৃহীত
বর্তমান নেতৃত্ব কিংবা পূর্বের কর্মকাণ্ডের প্রেক্ষাপটে দেশে আওয়ামী লীগের রাজনীতির আর কোনো সুযোগ নেই বলে মন্তব্য করেছেন রাষ্ট্রচিন্তাবিদ অধ্যাপক আবুল কাসেম ফজলুল হক। তবে দলটি যদি ভবিষ্যতে চরিত্র বদলে রাজনীতিতে ফিরে আসতে চায়, তাহলে সময়ই বলে দেবে তাদের ভবিষ্যৎ কী হবে বলে মনে করেন তিনি।
২০২৪ সালে এসে আওয়ামী লীগের বর্তমান পরিস্থিতির জন্য তিনি এককভাবে দায়ী করেন শেখ হাসিনাকে। তার ভাষায়, ১৯৭২ পরবর্তী সময়ে দলটির অবস্থা থেকে কোনো শিক্ষা নেয়নি আওয়ামী লীগ।
তীব্র এক গণঅভ্যুত্থানের মুখে ৫ আগস্ট পতন ঘটে আওয়ামী লীগ সরকারের। এরপর দেশের রাজনীতিতে নানাভাবে উঠে আসে দলটির নাম। গেল ১৫ বছরের সীমাহীন দুর্নীতি, জুলাই-আগস্টসহ পূর্ববর্তী আমলে জনগণকে হত্যার অভিযোগে কোনো অনুসন্ধান বা জবাবদিহিতা না থাকায় দলের বিচার দাবি জোরালো হতে থাকে। অবশেষে আওয়ামী লীগের সব ধরনের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা হয়।
এই প্রেক্ষাপটে দলটির ভবিষ্যৎ কী—এ নিয়ে অধ্যাপক আবুল কাসেম ফজলুল হক বলেন, “বর্তমান পরিচয় ও নেতৃত্বের চেহারায় সহসা এই দলকে জনগণ গ্রহণ করবে না।” তিনি বলেন, “যেভাবে সারা দেশজুড়ে শেখ মুজিবের স্ট্যাচু ভাঙছে, অনেক প্রতিষ্ঠানের নাম বদলে ফেলেছিল, সেগুলো আবার নতুন করে বদলে ফেলা হয়েছে। ৩২ নম্বরের বাড়ির নিচের ফাউন্ডেশন পর্যন্ত তুলে নেওয়া হয়েছে। এগুলো এক তীব্র জেদের পরিচায়ক।”
আওয়ামী লীগের ভবিষ্যৎ দলটির ওপরই নির্ভর করছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, “তারা কী কাজ করবে, সেটার উপরেই নির্ভর করবে তারা টিকে থাকবে কিনা।”
শুধু শেখ হাসিনার আমল নয়, বরং ১৯৭২ পরবর্তী ঘটনাবলির সঙ্গেও এই পরিণতির যোগ রয়েছে বলে মনে করেন অধ্যাপক ফজলুল হক। তিনি বলেন, “শেখ মুজিবুর রহমান যখন প্রধানমন্ত্রী ছিলেন, পরে রাষ্ট্রপতি হয়ে বাকশাল গঠন করেন। প্রকৃত অর্থে তার কোনো গণভিত্তি ছিল না। দলটি বড় হলেও কর্মীদের মধ্যেই অন্তর্দ্বন্দ্ব ছিল। খন্দকার মোশতাক তো আওয়ামী লীগেরই নেতা ছিলেন। শেখ হাসিনার ক্ষমতা থেকে বিদায় বা পালিয়ে যাওয়ার মধ্যেও তার সঙ্গে মিল আছে। ইতিহাস থেকে শিক্ষা নেওয়া জরুরি।”
সূত্র: https://www.youtube.com/watch?v=KhkXZOCNEEs
এএইচএ