
মানব উন্নয়ন সূচকে এক ধাপ এগিয়েছে বাংলাদেশ
জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচির (ইউএনডিপি) মানব উন্নয়ন সূচকে এক ধাপ এগিয়েছে বাংলাদেশ। সম্প্রতি প্রকাশিত ইউএনডিপির প্রতিবেদন অনুসারে, মানব উন্নয়ন সূচকে এবার ১৯৩টি দেশ ও অঞ্চলের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান দাঁড়িয়েছে ১৩০তম। এর আগের বছর বাংলাদেশের অবস্থান ছিল ১৩১তম।
২০২৩ সালের তথ্যের ভিত্তিতে ‘এ ম্যাটার অব চয়েস: পিপল অ্যান্ড পসিবিলিটিস ইন দ্য এজ অব আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স’ শিরোনামে এ প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। এতে বাংলাদেশের সূচকের মান ২০২২ সালে শূন্য দশমিক ৬৮০ থেকে বেড়ে ২০২৩ সালে শূন্য দশমিক ৬৮৫ হয়েছে।
মানুষের অগ্রগতি তুলে ধরতে জনস্বাস্থ্য, শিক্ষা ও আয়ের তথ্য বিশ্লেষণ করে ইউএনডিপির মানব উন্নয়ন সূচক তৈরি করা হয়। ১৯৯০ সাল থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশের গড় বার্ষিক মানব উন্নয়ন সূচক বৃদ্ধির হার এক দশমিক ৬৭ শতাংশ রেকর্ড করা হয়েছে।
প্রকাশিত সূচকে বাংলাদেশের গড় আয়ু ৭৪ দশমিক সাত বছর। এর মধ্যে নারীদের ৭৬ দশমিক চার বছর এবং পুরুষের ৭৩ দশমিক শূন্য বছর। স্কুলে পড়ার প্রত্যাশিত বছর ১২ দশমিক তিন এবং গড় বছর ছয় দশমিক আট। ক্রয় ক্ষমতা সমতা শর্তে মাথাপিছু মোট জাতীয় আয় আট হাজার ৪৯৮ ডলার।
প্রতিবেদনে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে আয় বণ্টনে ক্রমাগত বৈষম্যও তুলে ধরা হয়েছে। জনসংখ্যার সবচেয়ে দরিদ্র ৪০ শতাংশের কাছে জাতীয় আয়ের মাত্র ২০ দশমিক চার শতাংশ রয়েছে, যেখানে সবচেয়ে ধনী ১০ শতাংশ জাতীয় আয়ের ২৭ দশমিক চার শতাংশ নিয়ন্ত্রণ করে। শীর্ষ এক শতাংশ একাই মোট আয়ের ১৬ দশমিক দুই শতাংশের অধিকারী।
দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলো মধ্যে ভারতের অবস্থান বাংলাদেশের মতোই ১৩০তম। তবে শ্রীলঙ্কার অবস্থান সবচেয়ে ভালো। দেশটি অবস্থান ৮৯তম। এ ছাড়া, নেপাল ১৪৫তম এবং পাকিস্তানের অবস্থান ১৬৮তম।
ইউএনডিপি মানব উন্নয়ন সূচকে আইসল্যান্ড, নরওয়ে ও সুইজারল্যান্ড শীর্ষ স্থান ধরে রেখেছে। অন্যদিকে দক্ষিণ সুদানের অবস্থান সবার নিচে।
প্রতিবেদনে অন্তর্ভুক্ত দেশগুলোকে মানব উন্নয়নের ভিত্তিতে চারটি বিভাগে শ্রেণিবদ্ধ করা হয়েছে: অতি উচ্চ, উচ্চ, মাঝারি এবং নি¤œ। বাংলাদেশ মাঝারি মানব উন্নয়ন গ্রুপে রয়েছে।