ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ০৭ মে ২০২৫, ২৩ বৈশাখ ১৪৩২

গৌরনদী উপজেলা পরিষদে ঢুকে তিন ইউপি সদস্যকে মারধর

স্টাফ রিপোর্টার, বরিশাল

প্রকাশিত: ২১:৪৯, ৬ মে ২০২৫

গৌরনদী উপজেলা পরিষদে ঢুকে তিন ইউপি সদস্যকে মারধর

ছবিঃ সংগৃহীত

জেলার গৌরনদী উপজেলা পরিষদে ঢুকে তিনজন ইউপি সদস্যকে মারধর ও অফিসের আসবাবপত্র ভাঙচুরের অভিযোগ পাওয়া গেছে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। এ ঘটনায় ওইদিন সন্ধ্যায় থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।

হামলায় আহত ইউপি সদস্যরা হলেন, উপজেলার নলচিড়া ইউনিয়ন পরিষদের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য ইসমাইল হোসেন হিরা, ৫ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মামুন খলিফা ও ২ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য আহাদুল ইসলাম।

হামলায় গুরুতর আহত ইউপি সদস্য ও ইউনিয়ন যুবলীগ নেতা ইসমাইল হোসেন হিরা অভিযোগ করে বলেন, ইউপি চেয়ারম্যান গোলাম হাফিজ মৃধার বিরুদ্ধে আমরা উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে অনাস্থার অভিযোগ দিয়েছি। ওই অভিযোগের তদন্ত ভার উপজেলা কৃষি অফিসারকে দেওয়া হয়। অভিযোগের শুনানীর দিন ধার্য ছিলো মঙ্গলবার বিকেল চারটায়। আমরা যাতে উপজেলায় স্বাক্ষী দিতে যেতে না পারি এজন্য ইউপি চেয়ারম্যান বিএনপির লোকজন সেখানে জড়ো করে রাখেন। তারপরেও আমি (হিরা) এবং ইউপি সদস্য মামুন খলিফা ও আহাদুল ইসলাম শুনানীর স্বাক্ষ্য দেওয়ার জন্য বিকেল তিনটার দিকে উপজেলা পরিষদের অফিস সহকারীর কক্ষে অবস্থান করি।

তিনি আরও বলেন, আমাদের সেখানে অবস্থানের খবর পেয়ে উপজেলা বিএনপি নেতা আবু বকর গাজীর নেতৃত্বে ২০/৩০ জন বিএনপির নেতাকর্মীরা ওই কক্ষে ঢুকে আমাদের ওপর হামলা চালায়। তবে হামলার সময় উপজেলা নির্বাহী অফিসার অফিসে ছিলেন না বলেও তিনি উল্লেখ করেন।

ইউপি সদস্য ইসমাইল হোসেন হিরা আরও বলেন, হামলার ঘটনায় মঙ্গলবার সন্ধ্যায় থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার রিফাত আরা মৌরি বলেন, দুপুরে সাইড ভিজিটের জন্য অফিসের বাহিরে ছিলাম। এরইমধ্যে হামলার খবরে অফিসে এসে দূর্বৃত্তদের পাওয়া যায়নি।

তিনি আরও বলেন, হামলাকারীরা অফিস সহকারীর কক্ষে ঢুকে হামলা চালিয়েছে বলে জানতে পেরেছি। এতে অফিসের কয়েকটি চেয়ার ভেঙে গেছে। সিসিটিভির ফুটেজ দেখে হামলাকারীদের সনাক্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

এদিকে হামলার ব্যাপারে জানতে উপজেলা বিএনপি নেতা আবু বকর গাজীর ব্যবহৃত মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তা বন্ধ থাকায় কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

তবে ঘটনাস্থলে উপস্থিত থাকা যুবদল নেতা ফুয়াদ হোসেন এ্যানি হামলার অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ইউপি সদস্য ইসমাইল হোসেন হিরা বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের সময়ে বিএনপি নেতা আবু বকর গাজীর চোখ উপরে ফেলেছিলো।

গত ৫ আগস্টের পর আত্মগোপনে থাকা ইসমাইল হোসেন হিরাকে মঙ্গলবার উপজেলা পরিষদে দেখে ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা তাকে ধাওয়া করলে সে দৌঁড়ে ওই কক্ষে প্রবেশ করে। সেখানে বড় ধরনের কোন ঘটনা ঘটেনি বলেও তিনি উল্লেখ করেন।

বিএনপির নেতাকর্মীদের জড়ো করে রাখার অভিযোগ অস্বীকার করে নলচিড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান গোলাম হাফিজ মৃধা বলেন, কে বা কারা কিসের জন্য হামলা চালিয়েছে তা আমার জানা নেই।

গৌরনদী মডেল থানার ওসি মো. ইউনুস মিয়া বলেন, অভিযোগের তদন্ত করে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

 

আরশি

আরো পড়ুন  

×