ছবি: সংগৃহীত
আজ (৩ মে) বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস। দিবসটি উপলক্ষে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান তাঁর ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন। তিনি লিখেছেন, ‘আমাদের এজেন্ডার সঙ্গে না মিললেও আমরা নির্ভীক ও বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতাকে শ্রদ্ধা করি।’
সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা এবং সত্য প্রকাশে নিবেদিত সাংবাদিকদের সুরক্ষা নিশ্চিত করার জন্য বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবসে সবাইকে একত্র হওয়ার আহ্বান জানিয়ে তারেক রহমান আরও লেখেন, ‘গণতন্ত্রের একটি গুরুত্বপূর্ণ স্তম্ভ হিসেবে সাংবাদিক ও তাদের কাজকে সুরক্ষা ও সমর্থন করা উচিত, আক্রমণ বা সেন্সর করা নয়।’
তিনি জানান, বাংলাদেশে আমরা দেখেছি কীভাবে সদ্য অপসারিত এক কর্তৃত্ববাদী সরকারের অধীনে রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় ধারাবাহিকভাবে সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা ক্ষুণ্ন করা হয়েছে। সেই অন্ধকার সময়ে, অনেক বাংলাদেশি সাংবাদিক তাদের অটল সাহস ও প্রতিশ্রুতি দিয়ে রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় চালানো দুর্নীতি, ভয়াবহ মানবাধিকার লঙ্ঘন ও সামাজিক-অর্থনৈতিক ব্যর্থতাসহ নানা বিষয়ে আলোকপাত করেছেন। মূলধারার গণমাধ্যম থেকে শুরু করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম, দেশ-বিদেশ—সব জায়গাতেই এসব সাহসী সাংবাদিক সত্যের পক্ষে লড়েছেন, একটি গণতান্ত্রিক বাংলাদেশের জন্য সংগ্রাম করেছেন এবং মতপ্রকাশের মৌলিক অধিকারকে সমুন্নত রেখেছেন।
ফেসবুক পোস্টে তিনি আরও জানান, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি এমন এক নতুন ধারার সাংবাদিকতা থেকে অনুপ্রেরণা গ্রহণ করে, যা সর্বোচ্চ নৈতিকতা ও সততার মানদণ্ড মেনে চলে। আমরা বিশ্বাস করি, গণতন্ত্র গঠনে স্বাধীন ও মুক্ত সংবাদমাধ্যম অপরিহার্য। তাই সততা ও বস্তুনিষ্ঠতাসম্পন্ন সাংবাদিকতা চর্চা এবং রাজনীতির ঊর্ধ্বে গিয়ে জনগণের সেবা করা উচিত।’
শক্তিশালী ও টেকসই গণতন্ত্র গঠন করতে সাংবাদিকতার সততা ও স্বাধীনতা নিশ্চিত করতেই হবে জানিয়ে তিনি আরও লেখেন, ‘আসুন, সব ভেদাভেদ ভুলে আমরা এমন একটি বাংলাদেশ গড়ে তুলি, যেখানে জনগণের দ্বারা নির্বাচিত জবাবদিহিমূলক সরকার মতপ্রকাশের স্বাধীনতা, মানবাধিকার এবং আইনের শাসনসহ সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতাও নিশ্চিত করা হবে।’
রাকিব
