
ছবিঃ সংগৃহীত
চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবে বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার বলেন, “তিনজন সাংবাদিক চাকরিচ্যুত হওয়ার ঘটনায় সরকারকে দায়ী করা অনভিপ্রেত।” তিনি বলেন, “সরকারের পক্ষ থেকে কোনো গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠানকে এসব সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ করা হয়নি। চ্যানেলগুলো স্বাধীনভাবে তাদের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এটিকে সেল্ফ সেন্সরশিপও বলা যাবে না, কারণ সংশ্লিষ্ট ঘটনার সংবাদ ইতোমধ্যে গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে।”
চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাব ও চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন সাংবাদিক ইউনিয়নের উদ্যোগে আয়োজিত অনুষ্ঠানে তিনি আরও বলেন, “আমরা রাজধানী ঢাকায় এ ধরনের আলোচনা দেখে অভ্যস্ত হলেও চট্টগ্রামে এমন একটি আয়োজন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। মুক্ত গণমাধ্যম ও সাংবাদিকতার পরিবেশ নিয়ে সরাসরি কথা বলার সুযোগ পাওয়াটা গৌরবের।”
তিনি বলেন, “অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের পর থেকে সরকার সমালোচনাকে উন্মুক্ত করে দিয়েছে। রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমেও সরকারের সমালোচনা প্রকাশ পাচ্ছে, যা অতীতে ছিল অকল্পনীয়।” তিনি উল্লেখ করেন, টকশোগুলোর অতিথি নির্বাচন থেকে শুরু করে রিপোর্টারদের অ্যাসাইনমেন্ট নিয়ন্ত্রণের মতো পূর্ববর্তী অনুশীলন এখন বন্ধ হয়েছে।
উপ-প্রেস সচিব বলেন, “সাইবার সিকিউরিটি অ্যাক্ট বাতিলের নীতিগত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে এবং আইনের আওতায় দায়েরকৃত সাংবাদিকদের মামলা বাতিল হয়েছে।” তিনি আরও বলেন, “নতুন প্রস্তাবিত আইনে ৯টি বিতর্কিত ধারা বাদ দেওয়া হয়েছে, যা অধিকাংশ মামলার ভিত্তি ছিল।”
তিনি জানান, ১৬৮টি অ্যাক্রেডিটেশন কার্ড বাতিলের সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করে আপিলের সুযোগ রাখা হয়েছে, তবে মাত্র সাতজন সাংবাদিক আপিল করেছেন। নতুন নীতিমালায় সাংবাদিকদের জন্য তিন বছর মেয়াদি কার্ড, পুলিশ ভেরিফিকেশন বাতিল এবং পূর্বানুমতি ছাড়াই বিদেশ যাত্রার সুযোগ রাখা হয়েছে।
তিনি বলেন, “সরকার গণমাধ্যমের মালিকানা ও ব্যবস্থাপনায় পরিবর্তনে কোনো ভূমিকা রাখেনি এবং বিচ্ছিন্ন ঘটনায় সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। গুজব প্রতিরোধে সরকার তথ্য প্রবাহ নিশ্চিত করছে, যাতে জনগণ বিভ্রান্ত না হয়।”
তিনি জানান, “গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের প্রস্তাব ইতোমধ্যে জমা পড়েছে এবং তা বাস্তবায়নের উদ্যোগ শুরু হয়েছে। আশা করা যায়, এতে সাংবাদিকদের স্বাধীনতা ও নিরাপত্তা আরও জোরদার হবে।”
মারিয়া