ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৪ অক্টোবর ২০২৪, ৯ কার্তিক ১৪৩১

মোদির সঙ্গে বৈঠকের পর যা বললেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

প্রকাশিত: ১৮:৩২, ২২ জুন ২০২৪

মোদির সঙ্গে বৈঠকের পর যা বললেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আজ আমাদের দুই পক্ষের খুব ফলপ্রসূ বৈঠক হয়েছে। যেখানে আমরা পারস্পরিক স্বার্থের অন্যান্য বিষয়গুলোর মধ্যে রাজনীতি ও নিরাপত্তা, বাণিজ্য ও সংযোগ, অভিন্ন নদী থেকে পানি বণ্টন, বিদ্যুৎ ও শক্তি এবং আঞ্চলিক ও বহুপাক্ষিক সহযোগিতা নিয়ে আলোচনা করেছি। আমরা আমাদের জনগণ ও দেশের উন্নতির জন্য একে অপরকে সহযোগিতা করতে সম্মত হয়েছি।

শনিবার (২২ জুন) নয়াদিল্লির হায়দ্রাবাদ হাউসে নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের পর গণমাধ্যমে একটি যৌথ বিবৃতিতে এসব মন্তব্য করেন শেখ হাসিনা। 

তিনি বলেন, ‘শান্তিপূর্ণ ও সমৃদ্ধ ভবিষ্যতের যাত্রায় উভয় দেশই ভিশন স্টেটমেন্ট অনুমোদন করেছে। আমরা ডিজিটাল পার্টনারশিপ এবং টেকসই ভবিষ্যতের জন্য সবুজ অংশীদারিত্বর জন্য একটি যৌথ দৃষ্টিভঙ্গিতে সম্মত হয়েছি।’

ভারতকে বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেশী, বিশ্বস্ত বন্ধু এবং আঞ্চলিক অংশীদার হিসেবে বর্ণনা করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘১৯৭১ সালে আমাদের মুক্তিযুদ্ধের সময় শুরু হওয়া ভারতের সাথে সম্পকর্কে বাংলাদেশ ব্যাপকভাবে মূল্যায়ন করে।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, যেহেতু নতুন সরকার গঠনের মাধ্যমে ঢাকা ও দিল্লি নতুনভাবে পথ-চলা শুরু করেছে। সেই ধারাবাহিকতায় আমরা ‘রূপকল্প-২০৪১’ এর মাধ্যমে ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ প্রতিষ্ঠা এবং ‘বিকশিত ভারত ২০৪৭’ অনুসরণ নিশ্চিত করার জন্য ভবিষ্যৎ কর্মপন্থা নির্ধারণ করেছি। আমরা আজ নতুন কয়েকটি সমঝোতা স্মারক সই প্রত্যক্ষ করেছি। কিছু নবায়ন করেছি এবং ভবিষ্যৎ কাজের ক্ষেত্র হিসেবে কিছু যৌথ কার্যক্রমের ঘোষণা  দিয়েছি।
 
তিনি আরো বলেন, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে, দুই দেশই রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ পর্যায়সহ উচ্চপর্যায়ের মধ্যে যোগাযোগ ও সহযোগিতা অব্যাহত রেখেছে। ভারতের রাষ্ট্রপতি এবং প্রধানমন্ত্রী ২০২১ সালে বাংলাদেশের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী অনুষ্ঠান আমাদের স্বাধীনতার এবং দুই দেশের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের ৫০ বছর পূর্তি উদযাপন অনুষ্ঠানে যোগ দিতে বাংলাদেশ সফর করেছিলেন। ২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে ভারতে আমি দ্বিপাক্ষিক সফর করেছিলাম। ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরে দক্ষিণ এশিয়ার একমাত্র আমন্ত্রিত ‘অতিথি দেশ’ হিসেবে নয়াদিল্লিতে ভারতের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিয়েছিলাম। জুন মাসে দ্বিতীয়বারের মতো নয়াদিল্লি সফর করছি। এসব আমাদের এ দুই দেশের মধ্যে ঘনিষ্ঠভাবে একে অপরের সঙ্গে কাজ করার প্রমাণ বহন করে।
 
শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি, এই আলোচনাসমূহ আমাদের একে অপরকে সহযোগিতার উন্নততর পথ নিরূপণে গুরুত্বপূর্ণ দিক-নির্দেশনা দেবে। আমাকে এবং আমার প্রতিনিধিদলকে উষ্ণ আতিথেয়তা প্রদান করার জন্য আমি ভারত সরকারকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাচ্ছি।’

 

এম হাসান

×