আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা
আমেরিকার প্রভাবশালী সংবাদমাধ্যম ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের পর, এবার আওয়ামী লীগের সভাপতি এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নিরঙ্কুশ বিজয়ের খবর দিলো দেশটির আরেক প্রভাবশালী গণমাধ্যম নিউইয়র্ক টাইমস।
বিরোধী দল বিএনপি সরকারবিরোধী আন্দোলনে, জনগণকে সম্পৃক্ত করার সক্ষমতা হারিয়েছে উল্লেখ করে তাদের প্রতিবেদন বলছে, সাত জানুয়ারির নির্বাচনের মাধ্যমে টানা চতুর্থবারের মতো বাংলাদেশের সরকার প্রধান হতে যাচ্ছেন শেখ হাসিনা।
রাত পোহালেই দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ। এই নির্বাচন দিকে তাকিয়ে আছে বিশ্বের শক্তিধর সব দেশ। সেসব দেশের সংবাদ ও গণমাধ্যমে প্রকাশ করা হচ্ছে একের পর এক বিশ্লেষনধর্মী প্রতিবেদন ও নিবন্ধ। এরই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশের দ্বাদশ জাতীয় সংদস নির্বাচন নির্বাচন নিয়ে বিশেষ প্রতিবেদন ছেপেছে যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাবশালী গণমাধ্যম নিইউয়র্ক টাইমস।
প্রতিবেদনে বলা হয়, রবিবার নির্বাচনের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা টানা চতুর্থ মেয়াদে ক্ষমতায় আসতে চলেছেন। কারণ, বিরোধী দল হিসেবে কার্যকরী ভূমিকা রাখতে ব্যর্থ হয়েছে বিএনপি। সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলনেও দলটি সক্ষমতা হারিয়েছে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।
নিউইয়র্ক টাইমস বলছে, বাংলাদেশ সামরিক অভ্যুত্থান ও হত্যাকাণ্ডের পথ পেছনে ফেলে সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে চলেছে। তবে ১৭ কোটি মানুষের দেশটিতে এবারের নির্বাচনে ততটা প্রতিদ্বন্দিতা হচ্ছে না। নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের আন্দোলনে ব্যর্থ বিএনপির নির্বাচন বয়কট করাকেই এর জন্য দুষছে নিউইয়র্ক টাইমস।
প্রভাশালী এই মার্কিন পত্রিকাটি বলছে, বিএনপি নির্বাচনের আগের দিন থেকে ৪৮ ঘণ্টার হরতাল ডেকেছে। তাতে সহিংসতার আশঙ্কায় নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশে সেনা মোতায়েন করা হয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়, নির্বাচনের পরে যদি বিএনপি সহিংসতার পথ বেছে নেয় তাহলে তারা আবারো সরকারের ফাঁদে পা দেবে দলটি।
প্রতিবেদনে শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বে গার্মেন্টস রপ্তানি শিল্পে বিনিয়োগের সুফলসহ অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে প্রতিবেশী ভারতকে ছাড়িয়ে যাবার প্রসঙ্গ টেনে বলা হয় তার নেতৃত্বে শিক্ষা, স্বাস্থ্য, শ্রমশক্তিতে নারীর অংশগ্রহণ এবং জলবায়ু বিপর্যয় মোকাবেলায় বাংলাদেশ বড় ধরনের অগ্রগতি দেখিয়েছে।
নিউইয়র্ক টাইমেসের প্রতিবেদনে জাতির পিতা সপরিবারে নিহত হওয়ার বিষয়টি তুলে ধরে বলা হয়, বিরোধী দলে থাকাকালে শেখ হাসিনা গ্রেনেড হামলার শিকার হন। অন্যদিকে, জিয়াউর রহমান অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতা দখল বিএনপি প্রতিষ্ঠা করেন।
প্রতিবেদনটিতে নির্বাচনে বিএনপিকে আনার সরকারি চেষ্টার কথা উল্লেখ করে বলা হয়, বিএনপি এলে নির্বাচন আরো প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হতো।
এস