![ভোটারের স্বাক্ষরের বিধান পরিবর্তনের দাবি স্বতন্ত্র প্রার্থীদের ভোটারের স্বাক্ষরের বিধান পরিবর্তনের দাবি স্বতন্ত্র প্রার্থীদের](https://www.dailyjanakantha.com/media/imgAll/2023May/54-2312061420.jpg)
ভোটার
মনোনয়নপত্রে এক শতাংশ ভোটারের স্বাক্ষরের বিধান গলার কাঁটা হয়েছে দাঁড়িয়েছে বলে দাবি করেছেন স্বতন্ত্র প্রার্থীরা। মনোনয়ন বাতিলের পর যারা নির্বাচন কমিশনে আপিল করছেন তাদের বেশিরভাগের মনোনয়নই এই পদ্ধতির কারণে বাতিল হয়। এজন্য বিধানটি না রাখার দাবি প্রার্থীদের।
এদিকে প্রার্থিতা ফিরে পেতে, আজ বুধবার দ্বিতীয় দিনে আপিল করেন ১৪১ জন। দুই দিনে আবেদনের সংখ্যা ১৮৩টি। কমিশন জানিয়েছে, এদের বেশিরভাগই স্বতন্ত্র প্রার্থী।
আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া শেষ হয়েছে গত ৩০ নভেম্বর। নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধিত ৪৪টি রাজনৈতিক দলের মধ্যে এই আওয়ামী লীগ–জাতীয় পার্টিসহ ২৯টি রাজনৈতিক দলের প্রার্থীরা এবার নির্বাচনে আসছেন। অন্যদিকে, বিএনপিসহ ১৫টি দলের কোনো প্রার্থী এই নির্বাচনে নেই।
এরই মধ্যে শেষ হয়েছে মনোনয়ন পত্র যাচাই-বাছাই। গত সোমবার যাচাই–বাছাই শেষে ২ হাজার ৭১২ জন প্রার্থীর মধ্যে ৭৩১ জনের মনোনয়নপত্র বাতিল করেছে নির্বাচন কমিশন। আর বৈধ ঘোষণা করা হয়েছে ১ হাজার ৯৮৫ জনের মনোনয়নপত্র। মনোনয়নপত্র বাতিল হওয়াদের মধ্যে ৪২৩ জনই স্বতন্ত্র প্রার্থী। নির্বাচনি এলাকার ১ শতাংশ ভোটারের স্বাক্ষরযুক্ত সমর্থন তালিকায় গড়মিলের কারণে বাদ পড়েন বেশিরভাগ।
বুধবার দ্বিতীয় দিনে আপিল করা বেশিরভাগ প্রার্থীই ছিলেন স্বতন্ত্র। তাদের অভিযোগ, দু-একজন ভোটারের স্বাক্ষরে গড়মিল পেয়েও বাতিল হয়েছে মনোনয়ন। মনোনয়ন বাতিল হওয়া স্বতন্ত্র প্রার্থীরা মনে করছেন, এই বিধান বহাল থাকলে ভোটে অংশ নিতে পারবেন না অনেকেই।
স্বতন্ত্র নির্বাচনে আসা জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘এই যে পদ্ধতিটা, স্বতন্ত্র প্রার্থীদের ক্ষেত্রে যে নিয়মটা, এটা কিভাবে… আমার মতো মানুষও তো হিমসিম খাচ্ছি। আমি রীতিমত দৌড়াচ্ছি।’
আরেক স্বতন্ত্র প্রার্থী ক্ষোভ জানিয়ে বলেন, ‘একজন যোগ্য প্রার্থীকে গলাটিপে হত্যা করার ব্যবস্থা হলো এটা।’ নির্বাচন কমিশন (ইসি) বলছে, আগামী ৭ থেকে ৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত তিনদিনে আপিলের সংখ্যা আরও বাড়বে।
ইসির আইন শাখার যুগ্ম সচিব মো. মাহবুবার রহমান সরকার বলেন, ‘যেটা ধারণা করছি, স্বতন্ত্র প্রার্থীদের ক্ষেত্রে যেটা সবচেয়ে বেশি হতে পারে, আপনারা জানেন যে এক শতাংশ ভোটারের সমর্থনের একটি বাধ্যবাধকতা আছে। এটার ওপর ভিত্তি করেই আপিলটা হয়তো বেশি। অন্য কারণও আছে তবে সংখ্যা মনে হয় এটাই সবচেয়ে বেশি। আমরা স্বাভাবিকভাবে হয়ত বলতে পারি স্বতন্ত্র প্রার্থীদের আবেদনটাই বেশি হবে।’
আগামী ১০ থেকে ১৫ ডিসেম্বর আপিল নিষ্পত্তি করবে নির্বাচন কমিশন। ইসির সিদ্ধান্ত পক্ষে না গেলে, প্রার্থীদের উচ্চ আদালতে যাওয়ার সুযোগ রয়েছে।
গত ১৫ নভেম্বর দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। তফসিল অনুযায়ী ভোট হবে আগামী ৭ জানুয়ারি।
এস