ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

ডিএনসিসির সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের ডেট্রয়েট সিটির সমঝোতা স্মারক 

প্রকাশিত: ১৭:১০, ২৭ জানুয়ারি ২০২৩; আপডেট: ১৭:১৪, ২৭ জানুয়ারি ২০২৩

ডিএনসিসির সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের ডেট্রয়েট সিটির সমঝোতা স্মারক 

সমঝোতায় স্মারক করছেন মেয়র আতিকুল ইসলাম। 

ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন (ডিএনসিসি) ও যুক্তরাষ্ট্রের মিশিগানের ডেট্রয়েট সিটির সঙ্গে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে। ফলে দুই সিটির মধ্যে জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা বিনিময় করা হবে। ডিএনসিসি’কে যে কোনো ধরণের সহযোগিতা করতে পারবে ডেট্রয়েট সিটি। সেই সঙ্গে বাংলাদেশের উত্তম কার্যক্রমগুলো শেয়ার করতে পারবে ডিএনসিসি।স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (২৬ জানুয়ারি) ডেট্রয়েট সিটি ভবনে মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম ও ডেট্রয়েট সিটির মেয়র মাইকেল ই দুগান ডিএনসিসির সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের মিশিগানের ডেট্রয়েট নগরীর সিস্টার সিটির সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করেন। 

সমঝোতা স্মারক অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন- ডেট্রয়েট সিটির ডেপুটি মেয়র টোডা এ ব্যাটিসন, ডিএনসিসি’র সচিব মোহাম্মদ মাসুদ আলম ছিদ্দিক, বাংলাদেশ আমেরিকান পাবলিক অ্যাফেয়ার্স কমিটির চেয়ারম্যান এহসান তাকবীম, স্যোসাল অ্যাফেয়ার্স কাউসার খান প্রমুখ।

চুক্তির আওতায় নগরের পরিচ্ছন্নতা, ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা, ড্রেনেজসহ নগর উন্নয়নের সবগুলো সেক্টরে সহায়তা করবে ডেট্রয়েট। এর মাধ্যমে ঢাকা যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক আরো সুদৃঢ় হবে বলে মনে করেন ডিএনসিসি মেয়র আতিকুল ইসলাম। 

এই চুক্তি আধুনিক ঢাকা গড়তে যেমন সহায়তা করবে পাশাপাশি শুধু ডেট্রয়েটই নয় যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্কের ক্ষেত্রেও নতুন মাত্রা যোগ করবে বলে মনে করেন তিনি। শিগগিরই ডেট্রয়েডের মেয়র বাংলাদেশ সফরে আসবেন বলেও নিশ্চিত করেছেন ডিএনসিসি মেয়র।

আতিকুল ইসলাম বলেন, ‘বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে একটি ইতিহাস সৃষ্টি হলো। যুক্তরাষ্ট্রের ডেট্রয়েট সিটি এবং বাংলাদেশের ডিএনসিসির সঙ্গে সমঝোতা সিস্টার সিটির স্বারক স্বাক্ষরিত হলো। এটি একটি যুগান্তকারী দিন। এতে প্রমাণিত হয় যুক্তেোষ্ট্রের সাথে বাংলাদেশের অত্যান্ত ভালো সম্পর্ক রয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘ডেট্রয়েট মেনুফ্যাকচারিং সিটি। ঢাকাও ম্যানুফ্যাকচারিং সিটি। কাজেই এই চুক্তি আমাদের জন্য মাইলফলক হয়ে থাকবে। সিস্টার সিটি চুক্তির অর্থ হলো তাদের ভালো দিকগুলো আমাদের দিতে চায়। আবার আমরা আমাদের ভালো দিকগুলো তাদের দিতে চাই। তারা আমাদের ভালো দিক হিসেবে উল্লেখ করেছে কিভাবে আমরা অধিক জনঘণত্বের শহরকে পরিচালিত করি। কারণ ডেট্রয়েট সিটির জনঘণত্বও বাড়ছে যা তাদের চিন্তার কারণ।’

মেয়র বলেন, ‘ডেট্রয়েট সিটির মেয়র জানিয়েছেন এক সময় তাদেরও ক্যানেলগুলোর খারাপ অবস্থা ছিল। তাদের ট্রাফিক ব্যবস্থাপনায় অনেক পরিবর্তন আনতে সক্ষম হয়েছে। আমরা কিভাবে তাদের ট্রাফিক ব্যবস্থাপনাকে কাজে লাগাতে পারি সে বিষয়ে কথা হয়েছে। ডেট্রয়েট সিটির মেয়র ২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে বাংলাদেশ আসবেন।’

এমএইচ

×