মশার উৎপত্তিস্থল খুঁজে বের করতে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন
মশার উৎপত্তিস্থল খুঁজে বের করতে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন (ডিএনসিসি) ড্রোনের মাধ্যমে আগামীকাল শনিবার থেকে ১০ দিনব্যাপী চিরুনি অভিযান পরিচালনা করবে। বৃহস্পতিবার সকালে রাজধানীর উত্তরা-৪ নম্বর সেক্টরে ড্রোনের মাধ্যমে মশার উৎস শনাক্তকরণ কার্যক্রম পরিদর্শনে এসে এ কথা বলেন মেয়র মোঃ আতিকুল ইসলাম। এই সময়ে তিনি বলেন, নগরীর প্রতিটি বাড়িতে প্রবেশ করে ছাদ বা বেলকনিতে মশার উৎস খুঁজে বের করা কঠিন এবং সময় সাপেক্ষ কাজ। তাই অত্যাধুনিক ড্রোন ব্যবহার করে প্রতিটি বাড়ির ছাদে এডিসের লার্ভা আছে কি না সেটি খুঁজে বের করা হবে। কোন বাড়িতে পাওয়া গেলে ওই বাড়ির মালিকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
আতিকুল ইসলাম বলেন, আগামীকাল শনিবার থেকে ১১ জুলাই ঢাকা উত্তরের আওতাধীন প্রতিটি বাসাবাড়িতে অত্যাধুনিক ড্রোনের মাধ্যমে মশার উৎস খুঁজতে আমরা চিরুনি অভিযান পরিচালনা করব।
তিনি জানান, ড্রোন থেকে ছবি ও তথ্য-উপাত্ত নিয়ে যেসব বাড়িতে মশার লার্ভা পাওয়া যায় তার একটি তথ্যভা-ার তৈরি করবে সিটি কর্পোরেশন, যা আগামী বছরে মশক নিধন কার্যক্রমে কাজে লাগবে। এ সময় তিনি স্বাস্থ্য অধিদফতর, রাজধানীর হাসপাতাল ও রোগীদের ডেঙ্গুর বিষয়ে সঠিক তথ্য দেয়ার আহ্বান জানান। মেয়র বলেন, আমি ডেঙ্গু আক্রান্তদের অনুরোধ করব আপনাদের সঠিক ঠিকানা দিন। আমরা আপনাদের জরিমানা করব না। আমরা শুধু ওই বাসায় গিয়ে আশপাশে মশার কীটনাশক ছিটিয়ে দেব।
কিন্তু আপনি যদি ভুল তথ্য দেন তাহলে তো আমরা সঠিকভাবে মশক নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রম চালাতে পারব না। ডিএনসিসি মেয়র আরও বলেন, আমরা এক প্রকার ট্যাবলেট জলাশয় ও বাসাবাড়ির পানির মিটারে ব্যবহার করছি, যা তিনমাস পর্যন্ত পানিতে মশার জন্ম নিয়ন্ত্রণ করে।
মশার উৎস শনাক্তকরণ কার্যক্রম পরিদর্শন শেষে মেয়র উত্তরা-৪ নম্বর সেক্টর কল্যাণ সমিতি মাঠে সমিতির উদ্যোগে স্থাপিত মশা ধরার মেশিনের কার্যক্রম পরিদর্শন করেন। এটি মশা নিধনের একটি আধুনিক মেশিন। মেশিনটি একইসঙ্গে এডিস এবং কিউলেক্স মশা ধরতে পারে।
এই মেশিনটি চতুর্দিকে ২৪৫ ফুট বা ৮০ মিটারব্যাপী কার্যকরী। এটি একটি এ্যাপের মাধ্যমে পরিচালিত হয়, যার মাধ্যমে তাৎক্ষণিক কতটি মশা ধরা পড়ল তা জানা যায় এবং মেশিনটি চালু ও বন্ধ করা যায়। পাইলট প্রকল্প হিসেবে উত্তরা চার নম্বর সেক্টরের কল্যাণ সমিতি মাঠ ও পার্কে ছয়টি মেশিন স্থাপন করা হয়েছে। অনুষ্ঠানে ডিএনসিসির প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল জোবায়দুর রহমানসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।
