বিশেষ প্রতিনিধি ॥ তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বিএনপির উদ্দেশে বলেছেন, বঙ্গবন্ধু হত্যাকা-ের সঙ্গে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান যে যুক্ত ছিল, সেজন্য আগস্টের শেষদিনে জাতির কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করুন এবং যুদ্ধাপরাধী ও সাম্প্রদায়িক অপশক্তিকে ক্রমাগত পৃষ্ঠপোষকতার অপরাজনীতি থেকে বেরিয়ে আসুন।’
সোমবার জাতীয় প্রেসক্লাবে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে ‘ন্যাপ ভাসানী’ আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তথ্যমন্ত্রী আরও বলেন, বাংলাদেশ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে পৃথিবীর সামনে উন্নয়ন-অগ্রতির এক অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত। কিন্তু এখনও একটি রাজনৈতিক দল বিএনপি এই উন্নয়ন-অগ্রগতির প্রধান প্রতিবন্ধক। তারা স্বাধীনতা বিরোধীদের নিয়ে রাজনীতি করে।
তিনি বলেন, স্বাধীন বাংলাদেশে স্বাধীনতার পরাজিত শক্তি স্বাধীনতার পক্ষের শক্তির বিরুদ্ধে রাজনীতি করবে, এটি হতে পারে না। স্বাধীন বাংলাদেশের রাজনীতিতে সরকারী এবং বিরোধীদল উভয়ই হবে স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি। কিন্তু আমরা দেখতে পাচ্ছি যে, বিএনপি দলগতভাবে শুধু স্বাধীনতার বিরুদ্ধাচরণই করেছে না, স্বাধীনতাকামী-মুক্তিকামী মানুষের বিরুদ্ধে অস্ত্রধারণকারী গণহত্যা-নারী ধর্ষণের সঙ্গে যুক্ত জামায়াতে ইসলামী হচ্ছে বিএনপির প্রধান সহযোগী। অর্থাৎ আজকে বাংলাদেশে স্বাধীনতাবিরোধী পরাজিত শক্তির প্রধান পৃষ্ঠপোষক হচ্ছে বিএনপি। এই অপরাজনীতি চিরতরে বন্ধ করতে হবে।
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান বলেন, প্রতিক্রিয়াশীল স্বাধীনতাবিরোধী চক্র সাম্প্রদায়িক শক্তি বাংলাদেশে রাজনীতি করবে সেটি হতে পারে না। সাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র পাকিস্তান থেকে আমরা বেরিয়ে এসেছিলাম অসাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র রচনার জন্য। সেই দেশে সাম্প্রদায়িক শক্তি রাজনীতি করবে, আর সেটির প্রধান পৃষ্ঠপোষক হবে বিএনপি, এটি হতে পারে না। তাই আগস্ট মাসের শেষদিনে আমাদের প্রত্যয় হচ্ছে, ভবিষ্যত প্রজšে§র জন্য ইতিহাসে ঠিকভাবে লেখার স্বার্থে একটি কমিশন গঠন করে জিয়াউর রহমানসহ বঙ্গবন্ধু হত্যাকা-ে যারা কুশীলব ছিল তাদের মুখোশ উন্মোচন করা এবং যারা এখনও বেঁচে আছেন তাদের বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করানো। আরেকটি প্রত্যয় হচ্ছে বঙ্গবন্ধু হত্যাকা-ের সাজাপ্রাপ্ত কয়েকজন আসামি এখনও পলাতক আছে, তাদের ফিরিয়ে এনে ইনশাআল্লাহ আমরা রায় কার্যকর করব।