বিভাষ বাড়ৈ ॥ ‘লকডাউন কখন কিভাবে হবে, কখন তোলা হবে, শপিংমল, দোকানপাট বন্ধ রাখা হবে কিনা-এমন সব বিষয়ে পরামর্শ দেবে চিকিৎসা বিশেষজ্ঞদের সমন্বয়ে গঠিত জাতীয় টেকনিক্যাল কমিটি। দেশের উচ্চ পর্যায়ের বিশেষজ্ঞ ও অভিজ্ঞ চিকিৎসকদের নিয়ে গঠিত সর্বোচ্চ এ কমিটির মতামত অবশ্যই গুরুত্বের সঙ্গে নেয়া হবে’।
গত ৫ মে ১৭ সদস্যের জাতীয় কমিটির সঙ্গে বৈঠক শেষে এমনই বলেছিলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। কিন্তু এর পর থেকেই শুরু। কথা অনুসারে কোন পদক্ষেপই নেয়া হচ্ছে না। কোথায়, কখন, কিভাবে লকডাউন হবে, কখন খুলবে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান সকল ক্ষেত্রেই কমিটিসহ চিকিৎসা বিশেষজ্ঞদের মতামতকে পাশকাটিয়ে অবৈজ্ঞানিক সব সিদ্ধান্ত আসছে। উপেক্ষা করা হচ্ছে অন্যান্য কমিটিকেও। পরিস্থিতিতে ক্ষুব্ধ ও হতাশ চিকিৎসা বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, ‘কমিটিসহ বিশেষজ্ঞদের মতামতকে গ্রাহ্য না করে, অবৈজ্ঞানিক সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কর্তাব্যক্তিরা। সমন্বয়হীনতার কারণেই করোনা পরিস্থিতির আজ এমন হয়েছে। অথচ একেকটি ভুল সিদ্ধান্ত নিয়ে কর্মকর্তারা গণমাধ্যমে এসে বলছেন, এটা চিকিৎসা বিশেষজ্ঞদের মতামত নিয়ে করেছেন। এ ধরনের কর্মকান্ড চলছে।’ জানা গেছে, ইতোমধ্যেই সরকারের উচ্চ পর্যায়ে এসব অভিযোগ জানিয়েছে জাতীয় কমিটি। কমিটির সদস্যরা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেছেন, ‘সিদ্ধান্ত নিয়েছি আমরা আমাদের এমন অবস্থানের কথা এখন গণমাধ্যমকেও জানিয়ে দেব’।
কথা বলে জানা গেছে, কমিটির মতামতকে উপেক্ষা করে এই মুহূর্তে ব্যাপক করোনা সংক্রমণে থাকা রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন বড় বড় এলাকায় কঠোর লকডাউন দেয়ার সুপারিশ নিয়ে মতবিরোধ চলছে। মতবিরোধের কারণ হচ্ছে, জাতীয় টেকনিক্যাল কমিটি সুপারিশ করেছিল বৃহৎ অঞ্চল ধরে কঠোর লকডাউন দেয়া হোক। প্রয়োজনে কার্ফুর মতো পদক্ষেপ নেয়ার কথাও বলেছেন অনেকে। ঢাকাসহ বৃহৎ অঞ্চলে এক সঙ্গে কঠোর লকডাউন দিয়ে সেখানে বসবাস করা মানুষের পরীক্ষা করা, কনট্রাক্টট্রেসিং নিশ্চিত করাসহ বিভিন্ন সুপারিশ করে তারা বলেছিলেন, অন্যথায় করোনা মহামারী সামাল দেয়া সম্ভব হবে না।
অথচ সেই মত গ্রহণ না করে রাজাবাজারের মতো ক্ষুদ্র একটি এলাকার একটি অংশ লকডাউন দেয়া হয়েছে। এ ধরনের পদক্ষেপে সারাদেশে ছড়িয়ে পড়া করোনা সংক্রমণ আরও জটিল আকার ধারণ করবে বলেই আশঙ্কা প্রকাশ করে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অথচ এমন ভুল পদক্ষেপ নিয়ে মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা গণমাধ্যমে এসে বলছেন, ‘কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে এমন লকডাউনের পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে’। বিষয়টিকে অত্যন্ত আপত্তিকর বলে মনে করছেন কমিটির সদস্যরা। কমিটি ৩১ মে থেকে সাধারণ ছুটি বাতিল করে সব কিছু খুলে দেয়ারও বিরোধিতা করেছিল। কমিটি তখনই লকডাউন রেখে জোনিংয়ের প্রস্তাব করে।
এখন যে পরীক্ষামূলক ছোট একটি পাড়া জোনিং করা হচ্ছে তারা এটাকে বড় এলাকা ধরে করার পক্ষে। কিন্তু তাও মানা হচ্ছেনা। জাতীয় পরামর্শক কমিটির বক্তব্য, সংক্রমণ বাড়তে থাকায় এলাকাভিত্তিক লকডাউন এখন আর কার্যকর হবে না, বরং পুরো শহর অথবা বড় এলাকাজুড়ে লকডাউন করা প্রয়োজন।
চিকিৎসা বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ইতোমধ্যেই কয়েকটি স্থানে নতুন আরটিপিসিআর মেশিন হওয়া সত্ত্বেও তা ঠিকভাবে কাজ না করার প্রেক্ষাপটে নিম্নমানের মেশিন কেনার অভিযোগ আসছে। ইতোমধ্যেই কয়েকটি স্থানে নিম্নমানের মেশিন কেনাকাটায় অনিয়মের অভিযোগ পেয়ে তদন্তে নেমেছে একাধিক গোয়েন্দা সংস্থা। ল্যাবে নানা সমস্যা ও প্রক্রিয়া উন্নত দেশগুলোর মতো অটোমেশন করতে না পারার কারণে ল্যাব ও বুথের সংখ্যা যেভাবে বেড়েছে সেই মাত্রায় বাড়েনি করেনা টেস্টের সংখ্যা। টেস্ট বাড়ানো ও প্রক্রিয়া অটোমেশন করার তাগিদ বহু আগেই দিয়েছিলেন জাতীয় টেকনিক্যাল পরামর্শক কমিটির সদস্যরা।
কিট সঙ্কট নতুন বিপদের কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে বলে আগেই আশঙ্কা করেছিলেন চিকিৎসা বিশেষজ্ঞরা। করোনা সংক্রমণের প্রথম দিকে আইইডিসিআরের পক্ষ থেকে করা প্রেস ব্রিফিংয়ে অধিদফতরের কাছে মজুদ থাকা পিপিই ও কিটের সংখ্যা জানিয়ে দেয়া হতো। তবে এখন কিটের সংখ্যা কত মজুদ আছে তা বলা হয় না।
টেস্ট সংখ্যা বাড়ানোর পথে ভবিষ্যতে কিট সঙ্কটের কথা মাথায় রেখেই গত ২৯ এপ্রিল স্বল্প মেয়াদে পাঁচ লাখ টেস্টিং কিট সংগ্রহ করা জরুরী বলে সরকারকে জানিয়েছিল টেকনিক্যাল কমিটি। কমিটির সুপারিশে বলা হয়েছিল, ‘নোভেল করোনাভাইরাস শনাক্তে টেস্ট আরও বাড়ানো দরকার। যে জায়গাগুলোতে এখন পরীক্ষা করা হচ্ছে সেখানে টেস্টের পরিমাণ আরও বাড়াতে হবে এবং টেস্টের জন্য স্থানও বাড়াতে হবে। যাতে আক্রান্তরা দ্রুত শনাক্ত হন। বর্তমানে শুধু করোনার উপসর্গ নিয়ে আসাদেরই পরীক্ষা করা হচ্ছে। এ রোগের প্রাদুর্ভাব নিয়ন্ত্রণ করার জন্য কমিউনিটিতে যেসব মানুষের উপসর্গ আছে, কিন্তু রোগ নির্ণয় কেন্দ্রে আসছেন না, তাদের খুঁজে বের করে টেস্টের আওতায় আনতে হবে।’
টেকনিক্যাল কমিটির সুপারিশে আরও বলা হয়েছিল, ‘রেফারেন্স ল্যাবরেটরিতে প্রয়োজনীয় সংখ্যক নমুনা পাঠিয়ে প্রতিটি ল্যাবরেটরির কোয়ালিটি এ্যাসুরেন্স করা জরুরী। স্যাম্পল কালেকশন, ট্রান্সপোর্টেশন স্টোরেজ যথাযথ হওয়ার জন্য জনবলকে প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ দিতে হবে। ল্যাবরেটরি যাতে প্রতিদিন ২৪ ঘণ্টা চালু থাকে তার ব্যবস্থা করতে হবে। টেস্টের কেন্দ্র সংখ্যা বাড়ানোর জন্য প্রয়োজনে উন্নয়ন সহযোগীদের সাহায্য নিতে হবে।
কমিটি আরও বলেছে, ‘কোভিড-১৯ আক্রান্তদের চিকিৎসায় নিয়োজিত হাসপাতালগুলোয় অতিপ্রয়োজনীয় টেস্টের ব্যবস্থা থাকা বাঞ্ছনীয় (যেমন সিবিসি, ক্রিয়েটেনিন, সিআরপি, চেস্ট এক্সরে, ইসিজি) এবং এইসব পরীক্ষা নিশ্চিত করতে হবে। এ হাসপাতালগুলোর ল্যাবরেটরিতে প্রয়োজনীয়সংখ্যক মাইক্রো বায়োলজিস্ট, ভাইরোলজিস্ট পদায়নের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা করতে হবে।’
কমিটির সুপারিশে বলা হয়েছে, বর্তমানে বিশ্বের উন্নত দেশগুলোয় রোগীর উপসর্গ ও বুকের এক্সরের ভিত্তিতে কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসা শুরু করা হচ্ছে। কমিউনিটি ট্রান্সমিশনের এই সময়ে এই পদ্ধতিতে চিকিৎসা শুরু করা অতি জরুরী। কোভিড পরীক্ষা ভর্তির পরও করা যেতে পারে। বিশেষজ্ঞরা এখন স্পষ্ট সতর্কতা উচ্চারণ করেই বলছেন, দেশে সামাজিক সংক্রমণের মাধ্যমে দ্রুত করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়েছে। কিন্তু একই হারে পরীক্ষার মাধ্যমে আক্রান্তদের শনাক্ত করা হচ্ছে না। টেস্টের অভাবে অজানা থেকে যাচ্ছে সংক্রমণ পরিস্থিতি, ভবিষ্যত নিয়ে উদ্বিগ্ন বিশেষজ্ঞরা।
জাতীয় টেকনিক্যাল পরামর্শক কমিটির সদস্য ও স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের সভাপতি ডাঃ ইকবাল আর্সলান বলছিলেন, হ্যাঁ, কোভিড আক্রান্তদের চিহ্নিত করে জীবন রক্ষায় টেস্টের কোন বিকল্প নেই। যতবেশি টেস্ট তত বেশি রোগীকে আমরা চিহ্নিত করতে পারব। এটা করতে পারলে সে রোগীকে যেমন আলাদা করা যায় তেমনি সেও অন্যদের থেকে আলাদা হতে পারে। টেস্টের কোন বিকল্প নেই।
টেস্ট আমাদের কম। বেশি দরকার ছিল। তবে প্রক্রিয়াটা অটোমেশন দরকার। আমরা বলেছি এ্যানালগ না করে অটোমেশন করতে হবে। তাহলে আরও দ্রুত ইতিবাচক ফল আমরা পাব। টেস্ট কিট সংগ্রহ নিয়ে কমিটির সুপারিশ সম্পর্কে তিনি বলেন, আমরা সুপারিশ করেছি। কিন্তু বাস্তবায়ন তো মন্ত্রণালয় করবে। এখনও জানি না কতদূর কি করেছে।
কমিটির সুপারিশ বাস্তবায়ন সম্পর্কে এক প্রশ্নের জবাবে কমিটির এ সদস্য ক্ষোভ ও হতাশা প্রকাশ করে বলেছেন, ‘অধিকাংশ ক্ষেত্রেই কমিটির মতামতকে গ্রহণ করা হচ্ছে না। এটা ক্ষতির কারণ। বিপদের কারণ। আমরা আগেই বলেছি বড় বড় অঞ্চল কঠোর লকডাউন দিতে হবে। তা হচ্ছে না। আসলে দেশের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হওয়া সত্ত্বেও জাতীয় এ কমিটির মতকে অনেকাংশেই উপেক্ষা করা হচ্ছে। এসব বিষয়ে আমরা ইতোমধ্যেই সরকারের উচ্চ পর্যায়ে জানিয়েছি’।
কমিটির বরাত দিয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা মিথ্যা তথ্য ছড়াচ্ছে বলেও অভিযোগ উঠেছে। ডাঃ ইকবাল আর্সলান বলেছেন, ‘একেকটি সিদ্ধান্ত নিয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা গণমাধ্যমে এসে বলছেন, এটা চিকিৎসা বিশেষজ্ঞদের মতামত নিয়ে করেছেন। এ ধরনের কর্মকান্ড চলছে। সিদ্ধান্ত নিয়েছি আমাদের এমন অবস্থানের কথাও এখন গণমাধ্যমকে জানিয়ে দেব’।
এদিকে অভিযোগ উঠেছে, করোনায় সিদ্ধান্তগুলো আমলা নির্ভর হয়ে পড়েছে। ফলে খোদ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে গঠন করা জাতীয় পরামর্শক কমিটি, প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসকসহ পুরো চিকিৎসা বিশেষজ্ঞরাই উপেক্ষিত হচ্ছেন। ইতোমধ্যেই সংক্রমণের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে প্রখ্যাত মেডিসিন বিশেষজ্ঞ, প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক ডাঃ এবিএম আবদুল্লাহ বলেছেন, প্রতিদিনই আমাদের সংক্রমণ ও মৃত্যুর হার বাড়ছে। আসলে আমাদের এখানে যে লকডাউন বাতিল করা হলো, এর আগে মাঝে গার্মেন্টস খুলে দেয়া হলো, লোকজন এলো, আবার তাদের ফেরত পাঠানো হলো, ঈদে মানুষ বাড়ি গেল, আবার এলোও এভাবেই তো সংক্রমণ বাড়ল।
যখন লকডাউন ছিল, তখনও তো সেটি ঠিকভাবে কার্যকর করা হয়নি। মানুষও সেভাবে মানেনি। সাধারণ মানুষ, অসতর্ক ছিল, তাদের মধ্যে সচেতনতার অভাব ছিল। মানুষ ঘরে থাকেনি, বের হলে ঠিকমতো মাস্ক পরেনি, দূরত্ব বজায় রাখেনি। এসব মিলিয়েই সংক্রমণ বাড়ছে।’
তিনি বলেন, মানুষকে বুঝতে হবে, নিজের জীবন নিজেকেই রক্ষা করতে হবে। নিজে যদি সতর্ক না হয়, লকডাউন না মানে, তাহলে তো প্রশাসন একা এটি মোকাবেলা করতে পারবে না। সবাইকে বুঝতে হবে, যাতে তার মাধ্যমে অন্যের ক্ষতি না হয়। মানুষ এগুলো মানছে না বলেই সংক্রমণ ও মৃত্যুর হার দিনকে দিন বাড়ছে। এভাবে যদি সংক্রমণ বাড়তে থাকে, তাহলে দ্রুত আবারও লকডাউন দিতে হবে। শুধু লকডাউন দিলেই হবে না, মানুষ যাতে মানে সেই ব্যবস্থাও করতে হবে।’
ডাঃ আবদুল্লাহ বলেন, ‘আসলে ওই অর্থে লকডাউন আমাদের হয়নি। আবার মানুষও মানেনি। ছুটি মনে করে, বিনোদনের জন্য বিভিন্ন জায়গায় ঘোরাঘুরি করেছে, বেড়াতে গিয়েছে। আসলে তো এটা ছুটি ছিল না। লকডাউন ছিল। মানুষকে ঘরে থাকার কথা বলা হয়েছিল। ছুটি পেয়ে অনেকে গ্রামের বাড়িতে চলে গেছে। আবার ঢাকায় এসেছে। প্রতিদিন যদি সংক্রমণের হার এভাবেই বাড়তে থাকে বা মৃত্যুর হার বাড়তে থাকে, তাহলে সরকারকে লকডাউনের বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করতে হবে। প্রয়োজনে কঠোরভাবে লকডাউন দিতে হবে। যাতে মানুষ এটি মানতে বাধ্য হয়। মূল কথা মানুষকে লকডাউন মানাতে যা যা করা দরকার, তাই করতে হবে। প্রয়োজনে কার্ফু যেন দেয়া হয়, এরকম ব্যবস্থা লাগতে পারে।’
আরেকটি কমিটির নাম ‘ন্যাশনাল কো-অর্ডিনেশন কমিটি ফর প্রিভেনশন এ্যান্ড কন্ট্রোল অব কোভিড-১৯। কমিটির প্রধান স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক ডাঃ আবুল কালাম আজাদ। কমিটির উপদেষ্টা মেডিসিন বিশেষজ্ঞ এবং প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক ডাঃ এবিএম আব্দুল্লাহ। তিনি বলেছেন, আমাকে তো কখনই মিটিংয়ে ডাকেনি। নাম দিয়ে রেখেছে। এই কমিটির কোন কাজ আছে বলে আমার মনে হয় না। আর স্বাস্থ্যমন্ত্রী অনেক সিদ্ধান্ত কেন জানেন না তা তিনিই ভাল বলতে পারবেন।
সার্বিক পরিস্থিতিতে উদ্বিগ্ন বাংলাদেশ মেডিক্যাল এ্যাসোসিয়েশনের (বিএমএ) সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ডাঃ এহতেশামুল হক চৌধুরী। তিনি বলেছেন, ‘আমি জানি না বললেই স্বাস্থ্যমন্ত্রী দায় এড়াতে পারেন না।
প্রিভেন্টিভ মেডিসিনের চিকিৎসক ড. লেনিন চৌধুরী ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেছেন. কোভিড প্রতিরোধ ব্যবস্থায় নেতৃত্ব দেয়ার কথা জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ এবং সংক্রামক রোগতত্ত্ববিদদের। আর আগেই ‘এপিডেমিক প্রজেকশন মডেল’ তৈরি করা অত্যাবশ্যক ছিল। কিন্তু তা হয়নি। কোন এলাকা লকডাউন হয় প্রশাসনিক সিদ্ধান্তে। ফলে যা হওয়ার তাই হয়েছে।