ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ০৪ মে ২০২৪, ২১ বৈশাখ ১৪৩১

সহনীয় মাত্রা!

উবাচ

প্রকাশিত: ০৫:৪৮, ২৯ ডিসেম্বর ২০১৭

উবাচ

স্টাফ রিপোর্টার ॥ সাম্প্রতিক সময়ে যেভাবে প্রশ্ন ফাঁস হচ্ছে তাতে দেশের শিক্ষামন্ত্রী কিভাবে প্রকশ্যে কথা বলেন তাই নিয়েই অনেকের সন্দেহ ছিল। তবে প্রশ্ন ফাঁস হতে হতে এখন এটিকে সহনীয় মাত্রার প্রশ্ন ফাঁস বলে ধরে নেয়া যায়। আগে যে কোন পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁস হলে পরীক্ষা বাতিল করা হতো। এখন সংশ্লিষ্টরা উল্টো বলেন কোথায় প্রশ্ন ফাঁস হচ্ছে। এসব নিশ্চয়ই সহনীয় মাত্রা। এবার শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ এই সহনীয় মাত্রার বিস্তার ঘটাতে চাইছেন ঘুষে! মন্ত্রী নিজেই যখন বলেন ঘুষখান কিন্তু মাত্রা হতে হবে সহনীয়। এতে করে যারা দ্বিধা দ্বন্দ্বের মধ্যে ছিলেন কি করবেন না করবেন বুঝে উঠতে পারছিলেন না, তারা নিশ্চিন্ত চিত্তে শুরু করতে পারেন। ঘুষ খেতে আর বাধা কোথায়। তবে মন্ত্রী বহু সমালোচনার মুখে এই বক্তব্যের ব্যাখ্যা দিতে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন। সেখানে তিনি বলেন, সব কিছু ঠিকই আছে। কিন্তু তার বক্তব্য খ-িতভাবে উপস্থাপিত হওয়ায় ক্লিয়ার বোঝা যাচ্ছে না তিনি কি বোঝাতে চাচ্ছেন না। এই কথার যে ব্যখ্যা শিক্ষামন্ত্রী দেয়ার চেষ্টা করেছেন সেখানে বলা হচ্ছে, ২০০৯ সালের প্রেক্ষাপট বিবেচনায় নিয়ে এই মন্তব্য করা হয়েছে। অতীতের বক্তব্য বা তুলনাকে বর্তমানের কথা ধরে সংবাদ পরিবেশন করা হয়, যা বিভ্রান্তিকর। এখন আবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মন্ত্রীর বক্তব্য ভাইরাল হতে দেখা গেছে। সেখানে বিভিন্ন টেলিভিশনে প্রচারিত মন্ত্রীর বক্তব্য প্রচার করা হচ্ছে। যা দেখে সাধারণ মানুষ মন্তব্য করছেন এভাবে না বললেও হতো। আকাশের ঠিকানা! স্টাফ রিপোর্টার ॥ সৌদি আরবে পরিবর্তনের হাওয়া বইছে। সেই পটপরিবর্তনের সময় বিভিন্ন দেশের সরকার তাদের পরিবারের সদস্যদের বিনিয়োগ পাওয়া যাচ্ছে দেশটিতে। এর মধ্যে সাবেক প্রধানমন্ত্রী এবং বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া এবং তার ছেলে তারেক রহমানের বিস্তর সম্পদের খবর বের হয়েছে বিদেশী গণমাধ্যমে। সেই খবরের সূত্র ধরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কথা বললেই বিএনপি উকিল নোটিস পাঠিয়েছে। তবে সেই উকিল নোটিস কোথায় কার কাছে পাঠানো হয়েছে তা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছে আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক হাছান মাহমুদ। তিনি বলেছেন, তারা কোথায় উকিল নোটিস পাঠিয়েছে? মির্জা ফখরুল শুধু সংবাদ সম্মেলন করে উকিল নোটিসটি পড়ে শুনিয়েছেন। এটা কোথায় পাঠিয়েছেন? তারা এই উকিল নোটিস মনে হয় আকাশের ঠিকানায় পাঠিয়েছে। সবাই চাচ্ছে স্টাফ রিপোর্টার ॥ নির্বাচন এলেই জাতীয় পার্টির কদর বাড়ে। কদর বাড়ে পার্টিপ্রধান এইচ এম এরশাদের। ঠিক এই সময়ে জাতীয় পার্টি প্রধান হিসাব কষে সিদ্ধান্ত নেন। এবারও সেই পরিস্থিতি আসন্ন বলেই আভাস দিচ্ছেন তিনি। নিজের কদরের কথা নিজেই বলতে গিয়ে জানান সবাই এখন জাতীয় পার্টিকে পাশে চাচ্ছে। সম্প্রতি মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ভবিষ্যতে জাতীয় পার্টির সঙ্গেও বিএনপির জোট হতে পারে বলে মন্তব্য করেন। এর প্রেক্ষিতে এরশাদ বলেন, উনি কী বলেছেন সে সম্পর্কে আমার কোন ধারণা নেই। মির্জা ফখরুল ইসলাম যে কথাটা বললেন, তার মানে জাতীয় পার্টি নির্বাচনে একটা ফ্যাক্টর হয়ে দাঁড়িয়েছে। সবাই চাচ্ছে আমাদের। এরশাদ বলেন, আমরা কোথায় যাব, কিভাবে নির্বাচন করব সেটা ডিপেন্ড করবে আমাদের ওপর। কর্মীদের ওপর এবং নেতাদের ওপর। আলোচনার মাধ্যমে আমরা সিদ্ধান্ত নেব, আগামী নির্বাচন আমরা কিভাবে করব। আমার মনে হয় আগামী নির্বাচনে জাতীয় পার্টি অনেক ভাল করবে এবং জাতীয় জীবনে একটা মূল্যবান উপহার দেব।
×