
জাতীয় নাগরিক পার্টি-এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেছেন, জুলাই অভ্যুত্থান একটি দল পরিবর্তন কিংবা ক্ষমতার হস্তান্তরের জন্য ঘটেনি। অভ্যুত্থান ঘটেছিল একটি গণতান্ত্রিক বন্দোবস্তের প্রতিষ্ঠার জন্য। আমরা অনেকে মনে করি জুলাই আন্দোলন ছিল সরকার পতনের আন্দোলন। কিন্তু এটা কেবল সরকার পতনের আন্দোলন ছিল না এটি ছিল নতুন বন্দোবস্ত প্রতিষ্ঠার আন্দোলন। আমাদের মাঝেও কিছু হতাশা রয়েছে, কারণ আমরা এখনো সম্পূর্ণ বিচার দেখতে পারিনি। বৈষম্যহীন বাংলাদেশে যে সংস্কার হওয়ার কথা তা সম্পূর্ণরূপে আমরা দেখতে পারিনি।
মঙ্গলবার ১ জুলাই সকাল ১০টা ৩৫ মিনিটে রংপুরের পীরগঞ্জের মদনখালী ইউনিয়নের জাফরপাড়া বাবনপুর গ্রামে এসে শহীদ আবু সাঈদের কবর জিয়ারত শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, জুলাই ঘোষণাপত্র ও জুলাই সনদ নিয়ে টালবাহানা শুরু হয়েছে। আমরা স্পষ্টভাবে হুঁশিয়ারি দিতে চাই যদি সরকার বা অন্য কেউ মনে করে থাকেন জুলাই আন্দোলনে যারা রাজপথে নেমে এসেছিল তারা ঘরে ফিরে গিয়েছে, তাহলে আপনারা ভুল ভাবছেন। আমরা আবু সাঈদের কবর থেকে ঘোষণা করছি বাংলার প্রতিটি পথে-প্রান্তে আমরা যাব, বাংলার ছাত্র জনতা, তরুণ শ্রমিকদের আবারো রাজপথে নেমে আসতে আহ্বান জানাবো। আমরা ৩রা আগস্ট ঢাকায় দেশের জনগণ, শ্রমিকদেরকে সাথে নিয়ে জুলাই ঘোষণাপত্রের জন্য আবারও আন্দোলন শুরু করবো।
নাহিদ বলেন, আমাদের যে ৩টি দাবি ছিল, বিচার, সংস্কার ও নতুন সংবিধান। আবু সাঈদের কবরের পাশ থেকে তা পর্ণব্যক্ত করছি। নতুন বাংলাদেশ গড়তে হলে বিচার, সংস্কার ও গণপরিষদ নির্বাচনের মাধ্যমে নতুন সংবিধানের দিকে যেতে হবে।
এসময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, এনসিপি’র সদস্য সচিব আখতার হোসেন, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক সামান্তা শারমিন, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সদস্য সচিব ডাঃ তাসনিম জারা, উত্তরাঞ্চলের মূখ্য সংগঠক সারজিস আলম, দক্ষিণাঞ্চলের মূখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ, মূখ্য সমন্বয়ক নাসির উদ্দীন পাটোয়ারীসহ কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দরা। এসময়, কবর জিয়ারত শেষে তারা আবু সাঈদের পরিবারের সদস্যদের সাথে কথা বলেন।
বিকেলে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ আবু সাঈদ গেট থেকে পদযাত্রা নিয়ে এনসিপি নেতারা নগরীর লালবাগ, শাপলা চত্ত্বর, জাহাজ কোম্পানী মোড় হয়ে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে গিয়ে পথসভা করবেন। এরপর তাদের পদযাত্রা নগরীর গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করবে।
Jahan