
বরিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলায় ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের দুই পাশের ফুটপাতের অংশ এখন জঙ্গলে ঢাকা পড়েছে। যার ফলে পথচারীদের চলাচলে সমস্যা হচ্ছে।
স্থানীয়রা বলছেন, মহাসড়কের দুপাশের ফুটপাত দীর্ঘদিন ধরে পরিষ্কার করা হয়নি, যার কারণে ঝোপঝাড় ও আগাছা জন্মেছে। পদ্মা সেতু চালুর আগে মহাসড়কের বাকেরগঞ্জের অংশে সড়কের দুই পাশে তিন ফুট করে ফুটপাত নির্মাণ করা হয় পথচারীদের জন্য। কিন্তু মহাসড়কের দুপাশে অবস্থিত ফুটপাতগুলো দীর্ঘদিন ধরে অবহেলিত। এতে পথচারীদের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে মহাসড়কের উপর দিয়ে। যে কারণেই এই সড়কে দুর্ঘটনা লেগেই থাকে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, মহাসড়কের দপদপিয়া থেকে লেবুখালী পর্যন্ত বাকেরগঞ্জের অংশে সড়কের পাশের হেঁটে চলার পথগুলো বহুদিন ধরে সংস্কার না হওয়ায় আগাছায় ঢেকে গেছে। যে কারণে পথচারীরা বাধ্য হয়ে সড়কেই হেঁটে চলে। ভ্রমণ পিপাসু ও দক্ষিণাঞ্চলের কয়েক লাখ মানুষের যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম ঢাকা- বরিশাল মহাসড়ক। এ সড়কে ফুটপাতের চিহ্নমাত্রও নেই। পথচারীদের নিরাপদে চলাচলের ফুটপাত এখন জঙ্গল আর আগাছায় ভরা। ২০২২ সালে ২৫ জুন পদ্মা সেতু খুলে দেয়ার পর এ সড়কটি আরো জন গুরুত্বপুর্ণ হয়ে ওঠে। প্রতিদিন দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে কয়েক হাজার যানবাহন এ সড়ক দিয়ে চলাচল করছে। কিন্তু সড়ক জনপথ বিভাগ সড়ক নির্মাণের পর থেকেই ফুটপাতের প্রতি দৃষ্টি দেয়নি। ওই ফুটপাত এখন বনজঙ্গলে পরিনত হয়েছে। এতে প্রায় ঘটছে দুর্ঘটনা। দ্রুত এ জঙ্গল ও আগাছা দুর করে মানুষের চলাচলের পথ সুগম করে দেওয়ার দাবী স্থানীয়দের।
স্থানীয়দের আরো বলেন, পরিকল্পনা নয়, এখনই প্রয়োজন দ্রুত বাস্তব পদক্ষেপ। প্রতিদিনই এই সড়ক দিয়ে লাখো মানুষ চলাচল করছে। ঢাকা- বরিশাল মহাসড়কের ফুটপাত ব্যবহারযোগ্য না থাকায় পথচারীরা চরম দুর্ভোগে পড়ছে। দ্রুত জঙ্গল ও আগাছা পরিষ্কার করে ফুটপাত পুনরুদ্ধার না করলে বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কা রয়েছে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের এখনই নজর দেওয়া জরুরি।
বরিশাল সড়ক বিভাগ সওজ এর নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ নাজমুল ইসলাম বলেন, বৃষ্টির কারণে সড়কের দুই পাশে আগাছা বেড়ে গিয়েছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে সড়কের দুই পাশের জঙ্গল পরিষ্কার করে পথচারীদের চলাচলের ফুটপাত নিশ্চিত করা হবে।
Jahan