নিজস্ব সংবাদদাতা, কুমিল্লা, ২৩ মে ॥ কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজের ছাত্রী সোহাগী জাহান তনুর ধর্ষণের আলামত সংবলিত ডিএনএ রিপোর্ট পেতে তদন্ত সংস্থা সিআইডির সঙ্গে কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগের চিঠি চালাচালি শেষ হলেও বিষয়টি যাচ্ছে আদালত পর্যন্ত। গত ৫৪ দিনেও দেয়া হয়নি দ্বিতীয় ময়নাতদন্ত রিপোর্ট। তাই অবিলম্বে দ্বিতীয় ময়নাতদন্ত রিপোর্ট প্রকাশ ও তনুর হত্যার বিচারের দাবিতে কুমিল্লার সর্বস্তরের জনগণের ব্যানারে নগরীতে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ করা হয়েছে। সোমবার বিকেলে নগরীর কান্দিরপাড় টাউন হল গেটে ওই মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
অবিলম্বে দ্বিতীয় ময়নাতদন্ত রিপোর্ট প্রকাশের দাবি জানিয়ে এতে বক্তব্য রাখেন, সনাক কুমিল্লার সাবেক সভাপতি ও বিশিষ্ট ক্রীড়া সংগঠক বদরুল হুদা জেনু, বেসরকারী উন্নয়ন সংস্থা এইড কুমিল্লার নির্বাহী পরিচালক রোকেয়া বেগম শেফালী, নাট্যকার শাহজাহান চৌধুরী, প্রত্যয়ের নির্বাহী পরিচালক মাহমুদা আক্তার, টিশতী সমাজ কল্যাণ সংস্থার আয়শা সিদ্দিকা। বক্তারা জানান, গত ২০ মার্চ তনুর মরদেহ কুমিল্লা সেনানিবাসের ভেতর থেকে উদ্ধার করা হয়। কিন্তু ২ মাস অতিবাহিত হলেও আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সদস্যরা এখনও এর হত্যার রহস্য বের করা তো দূরের কথা এখনও জানা যায়নি তাকে কেন, কিভাবে এবং কারা হত্যা করেছে। বক্তারা আরও বলেন, প্রথম ময়নাতদন্তে রহস্যজনক কারণে তনুকে হত্যার আলামত পাওয়া যায়নি বলে রিপোর্ট দেয়া হয়েছে। তাহলে তনুর মৃত্যু হলো কিভাবে? বক্তারা অবিলম্বে দ্বিতীয় ময়নাতদন্তর রিপোর্ট প্রকাশসহ হত্যাকা-ের সঙ্গে জড়িতদের গ্রেফতার ও বিচার দাবি করেন।
উল্লেখ্য, গত ২০ মার্চ রাতে কুমিল্লা সেনানিবাসের ভেতরে একটি জঙ্গল থেকে তনুর মরদেহ উদ্ধারের পরদিন প্রথম ময়নাতদন্ত এবং ৩০ মার্চ কবর থেকে মরদেহ উত্তোলন করে দ্বিতীয় ময়নাতদন্ত এবং বিভিন্ন ডিএনএ আলামত সংগহ করা হয়। এরই মধ্যে গত ৪ এপ্রিল তড়িগড়ি করে তনুর প্রথম ময়নাতদন্ত রিপোর্ট দেয়া হয়। এতে তনুকে হত্যা কিংবা ধর্ষণের আলামত ছিল না। কিন্তু গত ৫৪ দিনেও নানা অজুহাতে দেয়া হয়নি দ্বিতীয় ময়নাতদন্ত রিপোর্ট। এরই মধ্যে ডিএনএ রিপোর্টে তনুকে ধর্ষণের আলামত পাওয়ায় সিআইডি থেকে সেই আলোচিত ডিএনএ রিপোর্ট পেতে এখন দৌড়ঝাঁপ চালাচ্ছে কুমেকের ফরেনসিক বিভাগ। আইনজীবীদের সঙ্গে এ বিষয়ে আলাপ-আলোচনা চলছে, আইনী প্রক্রিয়া অনুসরণ করেই আগামী ২/১ দিনের মধ্যে ডিএনএ রিপোর্টের জন্য আদালতে আবেদন করা হবে বলে মেডিক্যাল বোর্ড সূত্রে জানা গেছে।