
ছবি: সংগৃহীত
২০০৯ সালে প্রবর্তিত “পরিবার সঞ্চয়পত্র” হলো সরকারের একটি নিরাপদ ও লাভজনক বিনিয়োগ স্কিম, যা মূলত বাংলাদেশের নারীদের অর্থনৈতিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে চালু করা হয়েছে।
মূল্যমান ও কেনাবেচার স্থান
এই সঞ্চয়পত্রের মূল্যমান রয়েছে ১০,০০০ টাকা থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ ১০,০০,০০০ টাকা পর্যন্ত—যেমন: ১০,০০০; ২০,০০০; ৫০,০০০; ১ লাখ; ২ লাখ; ৫ লাখ এবং ১০ লাখ টাকা।
এটি ক্রয় ও নগদায়ন করা যায় জাতীয় সঞ্চয় ব্যুরো, বাংলাদেশ ব্যাংকের বিভিন্ন শাখা, বাণিজ্যিক ব্যাংক ও ডাকঘর থেকে।
মেয়াদ ও মুনাফার হার
পরিবার সঞ্চয়পত্রের মেয়াদ ৫ বছর। প্রতি বছর মুনাফার হার বাড়তে থাকে।
৭.৫০ লাখ টাকা পর্যন্ত বিনিয়োগকারীদের জন্য প্রথম বছর ১০.২০% থেকে শুরু হয়ে পঞ্চম বছরে তা পৌঁছে ১২.৫০%-এ।
অন্যদিকে, ৭.৫০ লাখ টাকার বেশি বিনিয়োগকারীদের জন্য সর্বশেষ বছরে মুনাফার হার ১২.৩৭%।
তবে মেয়াদপূর্তির আগেই যদি কেউ নগদায়ন করতে চান, তাহলে সে অনুযায়ী নির্ধারিত মুনাফা প্রাপ্ত হবেন এবং অতিরিক্ত অর্থ কেটে নেওয়া হবে মূল টাকা থেকে।
উৎসে করের হার
মুনাফার উপর উৎসে কর নির্ধারিত আছে—যদি মোট বিনিয়োগ ৫ লাখ টাকার মধ্যে থাকে, তবে ৫% হারে উৎসে কর কর্তন করা হয়।
আর যদি বিনিয়োগ ৫ লাখ টাকার বেশি হয়, সেক্ষেত্রে উৎসে কর হবে ১০%।
কে কে কিনতে পারবেন?
এই সঞ্চয়পত্র কিনতে পারবেন—
-
১৮ বছর বা তদূর্ধ্ব বয়সী যে কোনো বাংলাদেশি নারী
-
যে কোনো শারীরিক প্রতিবন্ধী ব্যক্তি (নারী বা পুরুষ)
-
৬৫ বছর বা তার বেশি বয়সী যে কোনো বাংলাদেশি নাগরিক
সর্বোচ্চ বিনিয়োগ সীমা
একক নামে সর্বোচ্চ ৪৫ লাখ টাকা পর্যন্ত পরিবার সঞ্চয়পত্র কেনা যাবে। তবে এটি যৌথ নামে কেনা যাবে না।
তবে ৫-বছর মেয়াদি বাংলাদেশ সঞ্চয়পত্র, ৩-মাস অন্তর মুনাফাভিত্তিক সঞ্চয়পত্র এবং পরিবার সঞ্চয়পত্র মিলিয়ে একক নামে সর্বোচ্চ ৫০ লাখ টাকা ও যৌথ নামে সর্বোচ্চ ১ কোটি টাকা পর্যন্ত বিনিয়োগ করা যাবে।
অতিরিক্ত সুবিধাসমূহ
পরিবার সঞ্চয়পত্র থেকে মাসিক ভিত্তিতে মুনাফা উত্তোলনের সুবিধা রয়েছে।
ক্রেতা চাইলে নমিনি নিয়োগ, পরিবর্তন বা বাতিল করতে পারেন।
এছাড়া, সঞ্চয়পত্রধারীর মৃত্যুর পর নমিনি ব্যক্তি চাইলে পুরো টাকা একবারে তুলে নিতে পারেন বা মেয়াদপূর্তি পর্যন্ত মাসিক মুনাফা উত্তোলন করে যেতে পারেন।
তথ্যসূত্র: জাতীয় সঞ্চয় অধিদপ্তর
আবির