
ছবি: সংগৃহীত
বিশ্বের অন্যতম শ্রেষ্ঠ বিনিয়োগকারী ওয়ারেন বাফেট শুধু কোটিপতিদের জন্য নয়, বরং প্রতিটি পরিবারের জন্য এক অসাধারণ উত্তরাধিকার পরিকল্পনার দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন।
২০২৪ সালে শেয়ারহোল্ডারদের উদ্দেশ্যে লেখা এক চিঠিতে তিনি তুলে ধরেন এমন ৫টি গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষা, যা কেবল সম্পদের হস্তান্তর নয়, বরং সন্তানদের সৎ ও দায়িত্বশীল মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে সাহায্য করে।
ওয়ারেন বাফেটের ৫টি শিক্ষা:
১. সন্তানকে অনুপ্রেরণা দিন, অলসতা নয়
প্রথম স্ত্রী সুসির মৃত্যুর পর, বাফেট তার তিন সন্তানকে ১০ মিলিয়ন ডলার করে দেন—যা দিয়ে তারা কিছু করতে পারে, কিন্তু কিছু না করেও চলতে না পারে।
বাফেট বলেন, “তাদের এতটুকু দিন যেন তারা কিছু করতে পারে, কিন্তু এতটা নয় যেন কিছু না করেও চলতে পারে।”
২. উইল নিয়ে খোলামেলা আলোচনা করুন
তিনি উইল সইয়ের আগেই সন্তানদের তা পড়তে দেন। এতে করে ভুল বোঝাবুঝি ও পারিবারিক বিবাদ এড়ানো যায়।
তিনি বলেন, “যখন আপনার সন্তানরা যথেষ্ট পরিণত হবে, তাদের আপনার উইলটি সই করার আগে পড়তে দিন।”
৩. ছোটবেলা থেকেই দান ও সমাজসেবার অভ্যাস গড়ে তুলুন
বাফেট এবং তার স্ত্রী শিশুদের ছোট ছোট দানমূলক কাজে উৎসাহ দিতেন। আজ তার সন্তানরা নিজ নিজ দাতব্য ফাউন্ডেশন পরিচালনা করছেন। মূল্যবোধ শেখানোর সবচেয়ে কার্যকর উপায় ছোট থেকেই শুরু করা।
৪. অর্থের চাপ থেকে সন্তানদের রক্ষা করুন
বাফেট উইলে এমন শর্ত রেখেছেন, যাতে সন্তানরা যৌথভাবে সিদ্ধান্ত নিতে পারেন এবং বাইরের চাপ প্রতিহত করতে পারেন।
"Unanimous consent" শর্তে সন্তানরা অনাকাঙ্ক্ষিত চাপ এড়াতে পারে।
৫. মৃত্যুর পরেও নিয়ন্ত্রণ নয়, সন্তানদের উপর আস্থা রাখুন
তিনি ভবিষ্যৎ প্রজন্মের উপর জোর না দিয়ে শুধুমাত্র সন্তানদের মধ্যে সম্পদ বণ্টনের পক্ষপাতী।
বাফেট বলেন “আমি কখনও কোনো বংশানুক্রমিক সম্পত্তি গড়ে তুলতে চাইনি বা এমন কোনো পরিকল্পনা করিনি যা আমার সন্তানদের বাইরেও প্রসারিত হয়।”
উত্তরাধিকার মানে কেবল টাকা নয়, বরং সততা, নৈতিকতা, বিশ্বাস এবং সন্তানদের উপর আস্থা। বাফেট বলেন, "আমি যেভাবে বাঁচতে চেয়েছি, তেমনই বেঁচেছি। আর আমার সন্তানরাও ভালো ও প্রোডাক্টিভ মানুষ হয়েছে।"
মুমু