
ছবি: সংগৃহীত
চীনের তৈরি PL-15E ক্ষেপণাস্ত্রের সফল প্রয়োগের পর এবার পাকিস্তানের হাতে উঠতে যাচ্ছে আরেকটি অত্যাধুনিক ক্ষেপণাস্ত্র PL-17, যা বদলে দিতে পারে দক্ষিণ এশিয়ার আকাশযুদ্ধের ভারসাম্য।
সাম্প্রতিক যুদ্ধপরিস্থিতিতে পাকিস্তান বিমান বাহিনীর J-10C যুদ্ধবিমান থেকে ছোড়া PL-15E ক্ষেপণাস্ত্রে ভারতের তিনটি রাফাল যুদ্ধবিমান গুলি করে ভূপাতিত করা হয় বলে দাবি করেছে ইসলামাবাদ। এছাড়াও একটি সু-৩০এমকেআই ও একটি মিরাজ ২০০০ ধ্বংস হয়। যদিও ভারত আনুষ্ঠানিকভাবে এটি স্বীকার করেনি, তবে বিমানবাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তারা "ক্ষয়ক্ষতি যুদ্ধের অংশ" বলে মন্তব্য করেছেন।
এই ঘটনার পরই আলোচনায় উঠে এসেছে চীনের আরও উন্নত PL-17 ক্ষেপণাস্ত্র, যার পাল্লা ৪০০ কিলোমিটার পর্যন্ত বলে জানা গেছে। এটি শুধু যুদ্ধবিমান নয়, বরং শত্রুদের AWACS, ট্যাংকার ও নজরদারি বিমানের মতো গুরুত্বপূর্ণ সমর্থন প্ল্যাটফর্মগুলোকেও ধ্বংস করতে সক্ষম।
চীনা জে-২০ স্টেলথ যুদ্ধবিমানে এর সফল ব্যবহার ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে। যদি পাকিস্তান এই ক্ষেপণাস্ত্র পায় এবং তা তাদের জে-১০সি বা জেএফ-১৭ ব্লক থ্রি প্ল্যাটফর্মে যুক্ত করতে পারে, তাহলে তারা ভারতের রাফাল বা সু-৩০এমকেআই যুদ্ধবিমান ধ্বংস করতে সক্ষম হবে এমন দূরত্ব থেকেই, যেখান থেকে ভারতীয় বিমানগুলি হুমকি টের পাবে না।
PL-17 ক্ষেপণাস্ত্রটি শুধু গতি ও পাল্লার দিক থেকেই নয়, বরং এর প্রযুক্তিগত দিক থেকেও অত্যন্ত উন্নত। এতে রয়েছে ইনর্শিয়াল ন্যাভিগেশন, GPS/Beidou গাইডেন্স, AESA রাডার সিকিং এবং ডেটালিংক, যা একে জ্যামিং প্রতিরোধ করে শত্রু লক্ষ্যবস্তু শনাক্ত ও ধ্বংস করতে সক্ষম করে।
এই অবস্থায় ভারতকেও তাদের অ্যাস্ট্রা এমকে৩ উন্নয়ন ত্বরান্বিত করা, ইসরায়েল বা ফ্রান্সের সঙ্গে সমঝোতা বাড়ানো এবং মেটিওর ক্ষেপণাস্ত্র অন্য প্ল্যাটফর্মেও যুক্ত করার দিকে মনোযোগ দিতে হতে পারে।
বিশ্লেষকদের মতে, PL-17 দক্ষিণ এশিয়ায় আকাশযুদ্ধের নতুন যুগের সূচনা করবে – যেখানে যুদ্ধবিমানের চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠবে ক্ষেপণাস্ত্রের পাল্লা ও নির্ভুলতা।
মুমু