
ছবি: সংগৃহীত
আজকের তরুণ সমাজ যখন প্রতিদিন ইনস্টাগ্রামে ছবি দিচ্ছে, টিকটকে ভিডিও আপলোড করছে, ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিচ্ছে, তখন একজন তরুণ সম্পূর্ণ ব্যতিক্রম হয়ে উঠেছে—ব্যারন ট্রাম্প। তিনি কোনও কিছু না করেই অনলাইনে ঝড় তুলেছেন। না কোনও ইনস্টাগ্রাম পোস্ট, না কোনও টিকটক ভিডিও, না কোনও এক্স (সাবেক টুইটার) অ্যাকাউন্ট—ব্যারন ট্রাম্প একেবারে ডিজিটাল নিরবতা বজায় রেখেছেন। আর এতেই তৈরি হয়েছে রহস্য, আলোচনার ঝড়, এবং অসংখ্য ভক্ত-অনুরাগীদের কৌতূহল।
ব্যারন উইলিয়াম ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও মেলানিয়া ট্রাম্পের সন্তান। সাম্প্রতিক রিপোর্ট অনুযায়ী, তিনি নিউ ইয়র্ক ইউনিভার্সিটির স্টার্ন স্কুল অব বিজনেস-এ অধ্যয়ন শুরু করেছেন। তার সাথে সবসময় থাকছে কড়া নিরাপত্তা—ব্ল্যাক এসইউভিতে যাতায়াত, সিক্রেট সার্ভিসের এজেন্টরা ছদ্মবেশে ক্যাম্পাসে থাকেন।
তবে যে বিষয়টি সবচেয়ে বেশি আলোচিত—তিনি সামাজিক মাধ্যমে কোথাও নেই!
এটা কি তার ব্যক্তিগত পছন্দ? নাকি পারিবারিক সিদ্ধান্ত? নাকি একটা সযত্নে পরিকল্পিত মিডিয়া কৌশল?
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ডোনাল্ড ট্রাম্পের পরিবারের অভ্যন্তরে সন্তানদের ব্যক্তিগত জীবন রক্ষা করার প্রবণতা আছে। মেলানিয়া ট্রাম্প ব্যারনকে মিডিয়ার আলোকচিত্র থেকে সবসময় দূরে রেখেছেন। তারাও হয়তো বুঝেছেন—ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে ব্যারনের প্রতিটি পোস্ট হয়ে উঠবে রাজনৈতিক বিশ্লেষণের বিষয়।
ব্যারন সোশ্যাল মিডিয়ায় এলে একটি পোস্টেই সম্ভবত ইন্টারনেট ভেঙে পড়ত। তার ছবিতে হাজার হাজার লাইক, প্রতিটি ইমোজি বা ক্যাপশনের পেছনে বিশ্লেষণ শুরু হত—সে কী ভাবছে, কী পরছে, এমনকি সে কোন রাজনৈতিক মত পোষণ করে! তৈরি হত ফ্যান অ্যাকাউন্ট, ডকুমেন্টারি, এবং—হ্যাঁ, ষড়যন্ত্র তত্ত্বও!
যখন সবাই ডিজিটাল লাইমলাইটের পেছনে ছুটছে, তখন ব্যারনের এই 'নীরবতা' এক ব্যতিক্রমী বার্তা দেয়। হতে পারে, সে বোঝে—সব কিছু অনলাইনে শেয়ার করতে হয় না।
মুমু