ছবি: দৈনিক জনকন্ঠ।
রাঙামাটির দুর্গম নানিয়াচর-লংগদু সড়কের কাজ দ্রুত বাস্তবায়নের দাবিতে ৪ উপজেলাবাসী বিশাল মানববন্ধন করেছে।
বৃহস্পতিবার (২৯ মে) দুপুরে রাঙামাটির লংগদু উপজেলা সদরে এই মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে রাঙামাটি ও খাগড়াছড়ি জেলার ৪ উপজেলার বাসিন্দারা। মানববন্ধনে নানিয়াচর, লংগদু, বাঘ্ইাছড়ি ও খাগড়াছড়ি জেলার দীঘিনা উপজেলার স্কুলকলেজের শিক্ষার্থী, ব্যবসায়ী ও সাধারণ এলাকাবাসীসহ সুশীল সমাজের প্রতিনিধিবৃন্দ অংশগ্রহণ করেছেন।
সুদীর্ঘ ২ যুগ ধরে ওই চার উপজেলার প্রায় ৩ লাখ অধিবাসী এই একটি মাত্র সড়কের কাজ সমাপ্ত করার জন্য সরকারের নিকট বার বার দাবি জানিয়ে আসছে। এই সড়কটি রাঙামাটি বাঘাইছড়ি সড়ক নামে পরিচিত। সড়কটি রাঙামাটি নানিয়াচর অংশ ও লংগদু বাগঘাইছড়ির অংশের কাজ অনেকটা সমাপ্তির পথে। শুধু মাত্র নানিয়াচর ও লংগদু অংশের মাত্র ২৪ কিলোমিটার কাজ সমাপ্ত না হওয়ায় দীর্ঘ ২ যুগ ধরে ওই উপজেলাবাসীরা চরম ভোগান্তিতে রয়েছে। কাপ্তাই কাপ্তাই লোক নির্ভরশীল এই উপজেলা বাসীরা বর্ষাকালে নৌপথে চলাচল করতে পারলেও শুষ্ক মৌসুমে লেকের পানি শুকিয়ে গেলে যোগা যোগ ও পণ্য পরিবহনে চরম ভোগান্তির মধ্যে পড়তে হয়।
বহু দাবি ও তদবিরের পর সড়ক বিভাগ ওই সড়কের কাজ শুরু করার পর পাহাড়ে সশস্ত্র গ্রুপ সড়ক নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দেয়। যার প্রতিবাদে এই মানববন্ধন করেছে ৪ উপজেলার হাজারো গ্রামবাসী।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, দীর্ঘ ৫৪ বছরের সাধনা রাঙামাটি জেলা সদরের সঙ্গে সংযোগ সড়ক হয়ে, নানিয়ারচর দিয়ে লংগদু হয়ে বাঘাইছড়ি সাজেক পৌঁছাবে সাধারণ মানুষ। সেই আশার যখন প্রতিফলন শুরু হয়েছে। তখন একটি মহল থেকে বাঁধা শুরু হয়েছে। এই বাধা পাহাড়ের মানুষ ভাল চোখে দেখছেনা।
মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশের বক্তারা কারো বাধা না মেনে দ্রুত সময়ের মধ্যে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর মাধ্যমে এই ২৪ কিলোমিটার সড়কের কাজ সম্পন্ন করতে লংগদুতে মানববন্ধনে হাজারো জনতা দাবি তুলেছেন।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, ৪ উপজেলার স্বপ্নের সড়ক নানিয়ারচরে ২৪ কিলোমিটার সড়কের কাজ বন্ধ করে দিতে পাঁয়তারা করছে একটি মহল। নানিয়ারচর উপজেলা হতে লংগদু উপজেলা পর্যন্ত সড়কের মাটির কাজ সমাপ্ত হয়েছে। শুধু পিচ ঢালাই কাজ করার জন্য ৩-৪ বছর যাবত চেষ্টা করা হলেও ইউপিডিএফ মূল এর সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের কারণে সড়কটির নির্মাণ কাজ সমাপ্ত হচ্ছেনা বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।
সড়কটি নির্মাণ হলে জনসাধারণ অবাধে চলাচল করতে পাড়লে তাদের অর্থনীতির দ্বার উন্মুক্ত হবে বলে ব্যবসায়ী মহলের ধারণা একই সঙ্গে ওই উপজেলাবাসী ভোগান্তি অনেকটা লাগব হওয়ার পাশাপাশি ওই এলাকায় চাঁদাবাজি অনেকটা কমে যেত।
মিরাজ খান
