
কাতারের পর এবার সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ে সর্ববৃহৎ দেশীয় মৌসুমী ফলের উৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছে। গত রোববার (২০ জুলাই) দুবাইয়ে এই আয়োজন করে বাংলাদেশ বিজনেস অ্যাসোসিয়েশন আবির। বৃহত্তর এই উৎসবে স্থান পেয়েছে দেশে উৎপাদিত হরেক রকমের ফল।
ফল উৎসবের আহবায়ক ও বাংলাদেশ বিজনেস অ্যাসোসিয়েশন সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব ইয়াকুব সৈনিকের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন দুবাই বাংলাদেশ কনস্যুলেটের কমার্শিয়াল কাউন্সেলর আশীষ কুমার সরকার। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন জনতা ব্যাংক ইউএই'র সিইও মোহাম্মদ কামরুজ্জামান, কমিউনিটি নেতা ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মদ সালাউদ্দিন, বাংলাদেশ বিজনেস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি জুলফিকার ওসমান।
আলহাজ্ব ইয়াকুব সৈনিক জানান, প্রবাস প্রজন্মের কাছে দেশীয় ফলের পরিচিতি বৃদ্ধির লক্ষ্যে তাদের এই আয়োজন। প্রায় পঞ্চাশ রকম ফলের প্রদর্শনী, দেশীয় ফলের উপর শিশু-কিশোরদের চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা, নারীদের ফলের ঝুড়ি সাজানো ও অলঙ্করণ ছিল উৎসবের বিশেষ আকর্ষণ। এ ছাড়া দেশীয় সাংস্কৃতিক আয়োজন উৎসবের মাত্রা বৃদ্ধি করে কয়েকগুণ।
প্রধান অতিথি আশীষ কুমার সরকার বলেন, বিদেশে মৌসুমী ফল উৎসবের ধারাবাহিকতা রাখা গেলে ভিনদেশীদের কাছে দেশীয় ফলের পরিচিতি আরো বৃদ্ধি পাবে। এতে দেশীয় ফলের রপ্তানিও বৃদ্ধি পাবে। উৎসবে আগত অতিথিরা আগামীতে এই আয়োজনের পরিসর বৃদ্ধির অনুরোধ জানান। সরকারি সহযোগিতায় অন্তত ৩ থেকে ৫ দিনের প্রদর্শনী সহ ফল বেচাকেনার ব্যবস্থা রাখার পরামর্শও দেন তারা।
কামরুল হাসান জনি ও তন্বী সাবরিনের সঞ্চালনায় এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন কমিউনিটি নেতা আলহাজ্ব শরাফাত উল্লাহ, এনাম চৌধুরী, আজিম উদ্দিন, সিরাজ নওয়াব, মুছা আল মামুন। আজমান বাংলাদেশ সমিতির সভাপতি আব্দুল কুদ্দুস, শারজাহ বাংলাদেশ সমিতির সিনিয়র সহ সভাপতি শাহাদাত হোসেন, উম্ম আল কোয়াইন সামাজিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের সভাপতি মুজিবুর রহমান, আক্তার হোসেন সিআইপি, মোহাম্মদ বদরুল সিআইপি, সংগঠক আবুল কালাম, বাংলাদেশ লেডিস ক্লাব ইউএইর প্রতিষ্ঠাতা এডমিন লিজা হোসেন ও সভাপতি লাবন্য আদিল।
এতে অ্যাসোসিয়েশন সদস্য ও ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদের মাঝে উপস্থিত ছিলেন সেলিম রেজা, নজরুল ইসলাম, রাশহেদুর রহমান চৌধুরী, মজিবুল রহমান মঞ্জু, মোহাম্মদ শহিদুল্লাহ, বোরহান চৌধুরী প্রমুখ।
রাজু