ছবি: জনকণ্ঠ
‘‘ঈদ মানে খুশি, ঈদ মানে আনন্দ। ঈদ আসে ভুলিয়ে দিতে সকল বিবাদ ও দ্বন্দ্ব। ঈদ মানে ভুলে যাওয়া সব দুঃখ-ভয়। ঈদ মানে গরিব-ধনী, উঁচু-নিচু সব ভেদাভেদ ভুলে গিয়ে সৌহার্দ্য ও সংহতির এক উদার উৎসব।’’
তবে প্রবাসীদের ঈদ উদযাপন ও আনন্দের রূপ খানিকটা ভিন্ন। হাজারো কর্মব্যস্ততা আর নানা প্রতিকূলতার মাঝেও তারা সীমিত আয়োজনের মধ্যেও খুঁজে পান বিশাল আনন্দ। কুয়েত প্রবাসীদের ক্ষেত্রেও বিষয়টি এর ব্যতিক্রম ছিল না।
রবিবার (৮ জুন), কুয়েত সিটি থেকে প্রায় ১২০ কিলোমিটার দূরে, দেশটির সীমান্তবর্তী এলাকা আব্দালিতে প্রবাসী ব্যবসায়ী মোজাহার আলীর উদ্যোগে আয়োজিত হয় ঈদ-পরবর্তী এক প্রীতিভোজ ও সাংস্কৃতিক আড্ডা। এতে কুয়েতে বসবাসরত বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার প্রবাসী বাংলাদেশিরা অংশ নেন।
প্রবাসে যেখানে বাংলাদেশিরা একত্রিত হন, সেখানে গড়ে ওঠে একটুকরো বাংলাদেশ। ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময়ের পাশাপাশি উপস্থিত প্রবাসীরা জানান, গ্রীষ্মকালে এমন মনোরম পরিবেশে ঈদের আড্ডার সুযোগ পাওয়া সত্যিই দুর্লভ। “লেকপাড়ে বসে গান, গল্প আর আড্ডা—এটা অনেকদিন মনে রাখব,” বললেন এক প্রবাসী।
আব্দালি এলাকার একটি রিসোর্টে আয়োজিত আড্ডা ঘিরে গড়ে ওঠে বাঙালি সংস্কৃতির উষ্ণ পরিবেশ। কুয়েতের পারস্য উপসাগরের উত্তরে বসবাসকারী বাংলাদেশিরা গান গেয়ে, গল্প করে জানিয়ে দেন প্রবাসে বেঁচে থাকা বাঙালিয়ানার রং।
আড্ডায় উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন কুয়েত-এর উপদেষ্টা প্রকৌশলী মো. ফরিদ উদ্দিন, সহ-সভাপতি হুমায়ুন কবির আলী ও সুহেল রানা, সাধারণ সম্পাদক কুরবান আলী, সাংগঠনিক সম্পাদক ওয়াসিম সানি, বাংলাদেশ প্রেসক্লাব কুয়েত-এর সাধারণ সম্পাদক আ হ জুবেদ, মিরসরাই সমিতির সভাপতি কামাল হোসেন, প্রবাসী সংগঠক তৌহিদুল আলম চৌধুরী, বরিশাল বিভাগীয় কল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম শাহিন, প্রবাসী সোশ্যাল অ্যাক্টিভিস্ট সাইফুল ইসলাম, এবং আরও অনেকে।
প্রবাসীদের ঈদের দিন কেটে যায় ঈদের নামাজ আদায়, সাধ্যমতো কোরবানি, প্রিয়জন ও সহকর্মীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় এবং কর্মব্যস্ততার মধ্য দিয়ে। পরের দিন যখন বাংলাদেশে ঈদ, তখনো থাকে কাজের চাপ। তবু এসবের মাঝেই খুঁজে নেওয়া হয় আনন্দ, স্মৃতি আর সংহতি।
শহীদ
