ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২৪ জুন ২০২৫, ১১ আষাঢ় ১৪৩২

নন-অ্যালকোহলিক ফ্যাটি লিভারের কারণ যে খাবারগুলি

প্রকাশিত: ২২:০১, ২৩ জুন ২০২৫

নন-অ্যালকোহলিক ফ্যাটি লিভারের কারণ যে খাবারগুলি

সাম্প্রতিক সময়ে জীবনযাপনে বেশ বদল এসেছে। যার হাত ধরে বৃদ্ধি পেয়েছে ফ্যাটি লিভারের মতো রোগ। নন- অ্যালকোহলিক ফ্যাটি লিভার থাবা বসাচ্ছে জীবনে। মদ্যপান না করেও এই রোগের শিকার হতে পারেন। এর অন্যতম কারণ বাইরের খাবার। মুখোরোচক খাবার খাওয়ার প্রবণতা যত বাড়ছে, ফ্যাটি লিভারের ঝুঁকির পারদও চড়ছে তত। বিশেষ কমবয়সিদের মধ্যে ভাজাভুজি খাওয়ার ঝোঁক বেশি। যে কারণে কম বয়সেই শরীরে বাসা বাঁধছে এই ধরনের রোগ। ফ্যাটি লিভার ক্রমশ উদ্বেগের কারণ হয়ে উঠেছে। তবে কোন খাবারগুলি ডায়েট থেকে বাদ দিলে এই রোগের ঝুঁকি খানিকটা কমবে?

ফ্রুক্টোজ জাতীয় খাবার
ফ্যাটি লিভারের ঝুঁকি কমাতে প্রথমেই চিনি খাওয়া বন্ধ করতে হবে। এমনকী কৃত্রিম চিনিও শরীরের জন্য ভালো নয়। লিভার সংক্রান্ত সমস্যা থেকে বাঁচতে চিনির পর্ব জীবন থেকে তুলে দিতে হবে। তবে চিনি আছে, এমন খাবার খাওয়াও বন্ধ করতে হবে। সফট ড্রিঙ্ক, অত্যধিক মিষ্টি দেওয়া হেল্‌থ ড্রিঙ্ক, এনার্জি ড্রিঙ্ক, প্যাকেটজাত ফলের রসে চিনির মাত্রা অত্যন্ত বেশি থাকে। এই খাবারগুলি খাওয়া কমাতে হবে।

বীজ থেকে তৈরি তেল

বিনা তেলে রান্না করা সম্ভব নয়। তা ছাড়া কিছুটা তেল শরীরের জন্যেও ভালো। তবে এটা ভুলে গেলে চলবে না, কোলেস্টেরলের নেপথ্যে রয়েছে সেই তেল-ই। তেল খান, তবে মেপে খাওয়ার কথা বলছেন চিকিৎসকেরা। কিছু বীজ থেকে তৈরি তেল শরীরের জন্য ক্ষতিকারক। সর্ষের তেলের পাশাপাশি, অনেকে সাদা তেল দিয়েও রান্না করেন। কেউ কেউ আবার রাইস ব্র্যান অয়েল ব্যবহার করেন। কেউ বেছে নেন সয়াবিনের তেল, সূর্যমুখীর তেল কিংবা ভুট্টার তেল। তা ছাড়া ক্যানোলা বা রেপসিডের তেলও ব্যবহার করা হয়। এইসব তেল শরীরে ট্রান্স ফ্যাটের মাত্রা বাড়িয়ে তোলে।

পেনকিলার কম খান

পেনকিলার সাময়িক ব্যথা কমালেও, দীর্ঘমেয়াদে আসলে শরীরের ক্ষতি করে। প্যারাসিটামল বা কোলেস্টেরলের ওষুধও লিভারের প্রভূত ক্ষতি করে। অনেকেই চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া ঘুমের ওষুধ খেতে শুরু করেন। এই অভ্যাসের কারণে লিভারের জটিল রোগে ভুগতে হতে পারে। চিকিৎসকের পরামর্শ না নিয়ে বেদনানাশক ওষুধ খাওয়া বন্ধ করতে হবে।

সজিব

×