ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২৪ জুন ২০২৫, ১১ আষাঢ় ১৪৩২

দুই সন্তানের মধ্যে কীভাবে গড়ে তুলবেন শক্তিশালী বন্ডিং?

প্রকাশিত: ২১:৫১, ২৩ জুন ২০২৫

দুই সন্তানের মধ্যে কীভাবে গড়ে তুলবেন শক্তিশালী বন্ডিং?

দাদা কিংবা দিদি হলো বাবা-মায়ের পরের সবচেয়ে নিশ্চিন্ত আশ্রয়। খুনসুটি, রাগ-অভিমান, বন্ধুত্বও চলে দাদা-দিদির সঙ্গে। কিন্তু সম্পর্কেরও তো পালাবদল হয়। একটা সময়ের পর সম্পর্কের সমীকরণ বদলাতে থাকে। ছোটবেলার অনেক ক্ষোভ, রাগ, অভিমান, বিদ্বেষ বড় বয়স পর্যন্তও মনে থেকে যায়। অনেক সময় অজান্তে দুই সহোদর কিংবা সহোদরা অথবা ভাইবোন একে-অন্যের প্রতিদ্বন্দ্বী হয়ে ওঠে। তবে পরিণত বয়সে গিয়ে এই সমীকরণ সমস্যার কারণ হয়ে উঠতে পারে। তাই বাবা-মায়েদের শুরু থেকেই সতর্ক থাকা জরুরি।

তুলনা না টানা
ছোট সন্তানের ক্ষেত্রে বার বার বড় জনের দৃষ্টান্ত তুলে ধরা ঠিক কাজ নয়। সেটা প্রশংসা হোক কিংবা সমালোচনা। বড় জন কিছু করেনি বলে ছোট জন সেই কাজ করতে পারবে না— এমনটা ধরে নেবেন না কখনই। দু'জন সম্পূর্ণ আলাদা মানুষ। দুজনকে মনের মতো কাজ করার জন্য উৎসাহ দিতে হবে।

একজনকে বাড়তি নজর নয়
দু’জনের মধ্যে কোনও এক জনের প্রতি বেশি নজর দেবেন না। দু’জনের প্রতিই আপনার আচরণ যেন সমান থাকে। বকাবকি হোক কিংবা ভালবাসা, দু’জনকেই সমান চোখে দেখুন।

পক্ষ নেবেন না
ভাই-বোনের মধ্যে ঝগড়া হতেই পারে। ঝগড়া মেটাতে গিয়ে কোনও একজনের হয়ে কথা বললে কিন্তু মুশকিল। এতে সমস্যা বাড়বে বই কমবে না। ছোটখাটো ঝগড়া তাদের নিজেদের মতো করে মিটিয়ে নিতে দিন। বড় সমস্যা হলে দু’পক্ষের কথা মন দিয়ে শুনুন।

দায়িত্ব ভাগ
কারও একার পক্ষে সব কাজ করা সম্ভব নয়। তাই ছোটখাটো দায়িত্ব দু'জনকেই ভাগ করে দিন। কাজ করতে গিয়ে দু'জনে অনেক সমস্যার সম্মুখীন হতে পারে। সাহায্য করার জন্য নিজেরা এগিয়ে যাবেন না। একে-অন্যকে সাহায্য করার পরিসর তৈরি করে দিন। একে দু'জনের বন্ডিং ভালো হবে।
 

সজিব

×