ছবি: সংগৃহীত
আপনি কি পরিচয়ের পরপরই কারও নাম ভুলে যান? কথা শুরু করার সঙ্গে সঙ্গেই নামটা যেন হাওয়ায় মিলিয়ে যায়? যদি এমন হয়ে থাকে, আপনি একা নন। তবে আশার কথা হলো—মনোবিজ্ঞান বলছে, এটি ‘ভুলোমনাপনা’র পরিচয় নয় বরং আপনার ভেতরে রয়েছে ছয়টি অনন্য ও ইতিবাচক বৈশিষ্ট্য।
এই বৈশিষ্ট্যগুলো শুধু ব্যতিক্রম নয়, বরং আমাদের দ্রুতগতির ডিজিটাল জগতে মানুষ হিসেবে এগুলোর গুরুত্ব দিন দিন বাড়ছেও। আসুন দেখে নিই, আপনার নাম ভুলে যাওয়ার অভ্যাসটি আসলে কী বলছে আপনার চরিত্র সম্পর্কে।
১. যখন আপনি কাউকে মন দিয়ে শুনেন, তার মুখাবয়ব, অভিব্যক্তি, গল্প—সবকিছু মনে রাখেন, তখন নামের মতো ‘অপ্রয়োজনীয়’ তথ্যগুলো পেছনে পড়ে যায়। মনোবিজ্ঞান বলছে, এটি সহানুভূতির স্পষ্ট পরিচয়।
২. নাম নয়, আপনি মনে রাখেন আলোচনার সারাংশ। আপনি বড় চিন্তার মানুষ—যারা বিষয়বস্তুর গভীরতা ও প্রভাব নিয়ে ভাবেন, নাম নয়।
৩. আপনি হয়তো নাম শুনে ভুলে যান, কিন্তু চেহারা মনে রাখেন বহুদিন। এটি মানে আপনার শেখার ধরন ভিন্ন, যা সমস্যার সমাধান ও সৃজনশীলতায় আপনাকে এগিয়ে রাখে।
৪. মনোবিজ্ঞানের মতে, ‘ডিভাইডেড অ্যাটেনশন’ বা বিভক্ত মনোযোগের কারণে আমরা গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ভুলে যাই। আপনার মন একসঙ্গে অনেক কিছু ভাবতে পছন্দ করে না—তাই গভীর কাজের সময় আপনি সেরা।
৫. সব শেষে, ভুলে যাওয়া আমাদের মানবীয় গুণ। আমরা নিখুঁত নই, এবং মনোবিজ্ঞান বলছে নাম ভুলে যাওয়ার মানে আপনি একেবারেই স্বাভাবিক।
৬. ভালো খবর হলো—এই দুর্বলতাকে আপনি চর্চার মাধ্যমে উন্নত করতে পারেন। নিয়মিত নাম উচ্চারণ, মুখাবয়বের সঙ্গে মিলিয়ে মনে রাখা—সবই সাহায্য করতে পারে।
নাম ভুলে যাওয়া মানেই ব্যর্থতা নয়। বরং এটি হতে পারে আপনার সহানুভূতি, গভীর চিন্তা, ও বিশেষ শেখার ধরন—এইসব ইতিবাচক বৈশিষ্ট্যের প্রতিচ্ছবি। নিজেকে ছোট না ভেবে বরং নিজের মন ও স্মৃতিকে আরও শক্তিশালী করার দিকে নজর দিন।
মুমু ২
