
ছবি: জনকণ্ঠ
বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে থাকা কুকুর, বিড়ালসহ অন্যান্য প্রাণীগুলো সাধারণত শিক্ষার্থী ও কর্মচারীদের থেকে খাবার খেয়ে বেঁচে থাকে। ঈদ-উল-আযহার দীর্ঘ ছুটির কারণে খাবারের অভাবে তারা দুর্ভোগে পড়েছে। বন্ধ ক্যাম্পাসে এসব প্রাণীর জন্য খাবার ও চিকিৎসাসেবা নিয়ে এগিয়ে এসেছে জুলাই ঐক্যের সংগঠক এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক সমন্বয়ক মুসাদ্দিক আলী ইবনে মোহাম্মদ।
জানা যায়, আজ রবিবার মুসাদ্দিক ও তার টিমের সদস্যরা সকাল থেকে সারাদিন হলসমূহ ও ক্যাম্পাসের বিভিন্ন স্থানে ঘুরে ঘুরে বিড়ালসহ অন্যান্য প্রাণীদের জন্য খাবার সরবরাহ করছে। ক্যাম্পাসে প্রায় সহস্রাধিক কুকুর বিড়াল অনাহারে রয়েছে। এরমধ্যে বিড়াল ও বিড়ালের বাচ্চাগুলো শীর্ণকার হয়ে যাচ্ছিল। যাদের সুযোগ রয়েছে তাদেরকেও তার স্ব-স্ব স্থানে ক্ষুধার্ত প্রাণীদের পাশে দাড়াতে আহ্বান জানিয়েছেন তারা।
মুসাদ্দিক আলী ইবনে মোহাম্মদ বলেন, আমরা প্রতিবছরই ঈদের ছুটি থেকে ফিরে এসে দেখি অনাহারে অনেক বিড়ালের মৃত্যু হয়েছে। আর বেঁচে থাকা বিড়ালগুলোও অনাহারে কঙ্কালসার হয়ে যায়। এসব বিষয় আমাকে খুব পীড়ন করে প্রতিবারই। তাই এবার সিদ্ধান্ত নিয়েছি আমি আমার সাধ্যালোকে যতটুকু সম্ভব বিড়ালগুলোকে খাদ্য সরবরাহ করবো। সেই ধারাবাহিকতায় প্রাথমিকভাবে ইতোমধ্যেই প্রায় শতাধিক বিড়ালের খাদ্য সরবরাহ করতে সক্ষম হয়েছি। আমরা আমাদের এই প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখব। বিড়ালগুলোর বিশেষ করে শিশু বিড়ালগুলোর মায়াবী করুণ চাহনি আমাকে অনেক বেশি পীড়া দেয়। ক্ষুধার্ত বিড়ালগুলো যখন গোগ্রাসে খাবার গ্রহণ করছিল তখন আপ্লুত হয়ে উঠছিলাম, এই অনুভূতি সত্যিই অনেক আনন্দের।
এ বিষয়ে সমাজকল্যাণ বিভাগের শিক্ষার্থী আমিন আহসান বলেন, সাধারণত ছুটির সময়টা ক্যাম্পাসের প্রাণীগুলোর জন্য সবচেয়ে বেশি কষ্টকর। খাবারের অভাবে রুগ্ন হয়ে যায়, ছুটি শেষে মানুষের সাক্ষাৎ পেলে দৌড়ে চলে আসে কিছু খাওয়ার জন্য। সেই ভাবনা থেকে ই ক্যাম্পাসের বিভিন্ন হলের বিড়ালগুলোর জন্য আমাদের সাধ্যমত এই ছোট্ট উদ্যোগ। যেহেতু, কুরবানীর ঈদ এবং বিভিন্ন ছাত্রসংগঠনগুলো ক্যাম্পাসে গরু কুরবানী করেছে, এজন্য শুধুমাত্র হল ও ক্যাম্পাসের বিড়ালগুলোর জন্য এটুকু করা।
আবির