
বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী জামদানি শাড়ি বিশ্বের দরবারে সমাদৃত হলেও, বর্তমানে এই শিল্প নানা সংকটের মুখোমুখি। বিশেষ করে ভারতীয় শাড়ি ও নকল জামদানির দাপটে দেশীয় জামদানি শাড়ির ন্যায্য মূল্য পাচ্ছে না।
জামদানি শিল্প টিকিয়ে রাখতে বয়নশিল্পীদের জীবনমান উন্নয়ন জরুরি। সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা, প্রশিক্ষণ ও আর্থিক সহায়তা দিলে এই শিল্প পুনরুজ্জীবিত হতে পারে। ক্রেতাদেরও দেশীয় জামদানি শাড়ি কেনার মাধ্যমে বয়নশিল্পীদের সহায়তা করা উচিত।
রূপগঞ্জের নোয়াপাড়ার বয়নশিল্পীরা দীর্ঘদিন ধরে জামদানি শাড়ি বোনেন। তবে তাদের দৈনিক আয় খুবই কম। একটি সাধারণ জামদানি শাড়ি বুনতে ৪ থেকে ৫ মাস সময় লাগে, কিন্তু মজুরি থাকে অপ্রতুল। শাড়ির দাম বাড়লেও বয়নশিল্পীদের আয় বাড়ছে না। জামদানি শাড়ি তৈরিতে সুতা, দোকান ভাড়া, বিদ্যুৎ বিল, অবকাঠামোগত ব্যয়সহ নানা খরচ বাড়ছে। তবে বাড়ছে না মজুরি।
ভারতীয় শাড়ি ও নকল জামদানির দাপটে দেশীয় জামদানি শাড়ির চাহিদা কমছে। নকল জামদানি শাড়ি ১,৫০০ থেকে ২,০০০ টাকায় বিক্রি হলেও, দেশীয় জামদানি শাড়ির দাম ৮০,০০০ টাকাও হতে পারে।
২০১৬ সালে ইউনেস্কো জামদানি শাড়িকে ভৌগোলিক পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি দেয়। তবে এই স্বীকৃতির বাস্তব সুবিধা বয়নশিল্পীরা পাচ্ছেন না। শাড়ির দাম বাড়লেও, বয়নশিল্পীদের আয় বাড়ছে না। মধ্যস্বত্বভোগীরা বেশি লাভবান হচ্ছেন, ফলে বয়নশিল্পীরা ন্যায্য মূল্য পাচ্ছেন না।
জামদানি শিল্প টিকিয়ে রাখতে বয়নশিল্পীদের জীবনমান উন্নয়ন জরুরি। সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা, প্রশিক্ষণ ও আর্থিক সহায়তা দিলে এই শিল্প পুনরুজ্জীবিত হতে পারে। ক্রেতাদেরও দেশীয় জামদানি শাড়ি কেনার মাধ্যমে বয়নশিল্পীদের সহায়তা করা উচিত।
সানজানা