
ছবি:জনকণ্ঠ
বান্দরবানে কুহালং ইউনিয়নের বাকীছড়া বটতলী মারমা পাড়ায় রাতের বেলায় কাকড়া খুঁজতে গিয়ে এক শিশু ধর্ষণের শিকার হয়েছে। রবিবার বিকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেন বান্দরবান সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাসুদ পারভেজ।
এঘটনায় ধর্ষণে অভিযুক্ত মেন ইয়া ম্রো (৪০) কুহালং ইউনিয়নের ৯নম্বর ওয়ার্ডের বাকীছড়া বটতলী গোদার পাড় এলাকার মেন চং ম্রো"র ছেলে
শিশুটির মা জানায়, গত শনিবার রাতে দুই শিশুকে নিয়ে মেন ইয়া ম্রো (৪০) নামে এক ব্যক্তি সন্ধ্যায় ঝিড়িতে কাকড়া ধরতে যায়। ঝিড়িতে কাকড়া খুঁজতে খুঁজতে রাত বেশী হলে মেন ইয়া ম্রো বলে বাড়ী থেকে তো আমরা অনেক দুরে এসেছি তাই আমরা আজ রাতে জুমের টংঘরে ঘুমিয়ে সকালে বাড়ীতে ফিরবো। সেই টংঘরে রাতে অবস্থান করার সময় মেন ইয়া ম্রো তার মেয়েকে ধর্ষন করে। গভীর রাতে মেয়েটি চিৎকার করে বাড়ীতে রক্তাক্ত অবস্থায় ফিরে আসলে শিশুটিকে রক্তাক্ত হওয়ার কারন জিজ্ঞাসা করলে তার মাকে সে জানায় মেন ইয়া ম্রো তাকে ধর্ষণ করেছে। পরে পাড়ার লোকজন মিলে ভোরে বান্দরবান দ সদর হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে আসেন।
বান্দরবান সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. দিলীপ চৌধুরী জানান, শিশুটিকে সকাল ৮টার দিকে রক্তাক্ত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের কারণে তার শরীর ফ্যাকাশে হয়ে গিয়েছিল। স্থানীয় কয়েকজন যুবক-যুবকী ভাষান্তরের মাধ্যমে তথ্য দিলে রক্ত সংগ্রহ করে জরুরি অপারেশন শুরু করা হয়। অপারেশনে দেখা যায়, শিশুটির পায়ুপথ ও জরায়ু ভেতরে ও বাইরে ৯০ শতাংশ কাটাছেঁড়া রয়েছে। তিনি আরও বলেন, প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে ধর্ষণের শিকার হয়েছে। যদি ধর্ষণ না-ও হয়, তাহলে একটি শিশুর স্পর্শকাতর অঙ্গে এতটা ক্ষত হওয়ার কোনো কারণ নেই বলে জানান তিনি।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বান্দরবান সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ মাসুদ পারভেজ বলেন, গতরাতে মাছ ধরতে গিয়ে কোন একটি টংঘরে শিশুটি ধর্ষণের শিকার হয়েছে। বান্দরবান সদর হাসপাতালে ভর্তি আছে। এখনো কেউ অভিযোগ করেননি। তারপরও পুলিশের একটি টিম ঘটনাটি তদন্ত করছে এবং আসামীকে ধরতে পুলিশের অভিযান চলমান আছে বলে জানান তিনি।
ছামিয়া