
ছবি: সংগৃহীত
কোরবানির ঈদ মানেই ঘরে ঘরে মাংসের ছড়াছড়ি। এই সময় অতিরিক্ত মাংস ফ্রিজ বা ফ্রিজারে সংরক্ষণ করা একটি সাধারণ বিষয়। কাঁচা হোক কিংবা রান্না করা, সঠিকভাবে সংরক্ষণ না করলে মাংসের পুষ্টিগুণ দ্রুত নষ্ট হয়ে যায় এবং স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। আমেরিকার সরকারি ওয়েবসাইট ‘ফুড সেফটি’ ও আমেরিকার কৃষি বিভাগ (ইউএসডিএ) এর তথ্য অনুযায়ী, কোন মাংস কতদিন পর্যন্ত সংরক্ষণ করা নিরাপদ, তা জেনে নিন:
গরু কিংবা খাসির মাংস (রেড মিট)
-
ফ্রিজে (নরমাল ফ্রিজ): ৩-৫ দিন পর্যন্ত ভালো থাকে। এর বেশি রাখলে স্বাদ ও গুণগত মান নষ্ট হতে পারে।
-
ফ্রিজারে (ডিপ ফ্রিজ): ১ বছর পর্যন্ত সংরক্ষণ করে খাওয়া নিরাপদ। তবে যত দ্রুত সম্ভব খাওয়া ভালো।
-
রান্না করা মাংস: ফ্রিজে ৩-৫ দিন এবং ফ্রিজারে ৬ মাস পর্যন্ত রাখা নিরাপদ।
মাংসের কিমা
কিমা করা মাংসের সংরক্ষণকাল তুলনামূলকভাবে কম:
-
ফ্রিজে (নরমাল ফ্রিজ): ইউএসডিএ-এর তথ্য মতে, খুব বেশি হলে এক থেকে দুদিন পর্যন্ত কাঁচা কিমা ফ্রিজে সংরক্ষণ করা যাবে।
-
ফ্রিজারে (ডিপ ফ্রিজ): ফ্রিজারে কখনোই ৪ মাসের বেশি কিমা রাখা উচিত নয়। ৪ মাসের বেশি রাখলে মাংসের পুষ্টিগুণ নষ্ট হয়ে যায়।
-
রান্না করা কিমা: ফ্রিজে ৩-৪ দিন পর্যন্ত রেখে খাওয়া যেতে পারে।
সংরক্ষণের টিপস: কিমা সংরক্ষণের ক্ষেত্রে মাংস ভালো করে ধুয়ে অতিরিক্ত পানি ঝরিয়ে বায়ুরোধী পাত্রে বা জিপলক ব্যাগে সংরক্ষণ করতে হবে।
মুরগির মাংস
-
কাঁচা মুরগির মাংস (নরমাল ফ্রিজ): এক থেকে দুদিন পর্যন্ত রাখা নিরাপদ।
-
কাঁচা মুরগির মাংস (ডিপ ফ্রিজ/ফ্রিজার):
-
আস্ত মুরগি রাখলে ১ বছর পর্যন্ত ভালো থাকবে।
-
টুকরা করা মুরগির মাংস রাখলে ৯ মাস পর্যন্ত ভালো থাকে।
-
-
রান্না করা মুরগির মাংস: নরমাল ফ্রিজে কয়েক দিন এবং ফ্রিজারে ২ থেকে ৬ মাস পর্যন্ত রাখতে পারবেন। অবশ্যই মুখবন্ধ পাত্রে বা বায়ুরোধী প্যাকেটে রাখতে হবে।
গুরুত্বপূর্ণ সতর্কতা:
-
মাংস সংরক্ষণের আগে ভালো করে পরিষ্কার করে পানি ঝরিয়ে নিন।
-
ছোট ছোট অংশে ভাগ করে সংরক্ষণ করুন, যাতে প্রয়োজন অনুযায়ী বের করে ব্যবহার করা যায়।
-
বায়ুরোধী পাত্র বা জিপলক ব্যাগ ব্যবহার করুন, যাতে মাংসের গুণগত মান বজায় থাকে এবং ফ্রিজের অন্যান্য খাবারের সাথে গন্ধ মিশে না যায়।
-
মাংস বের করে ডিফ্রস্ট করার পর পুনরায় ফ্রিজারে রাখবেন না, এতে ব্যাকটেরিয়া জন্মানোর ঝুঁকি বাড়ে।
-
সংরক্ষিত মাংসের প্যাকেটে তারিখ লিখে রাখুন, যাতে কতদিন ধরে মাংস রাখা আছে তা সহজেই বোঝা যায়।
সঠিকভাবে মাংস সংরক্ষণ করে ঈদের মাংসের স্বাদ ও পুষ্টিগুণ দীর্ঘ সময় ধরে উপভোগ করুন।
সাব্বির