ঢাকা, বাংলাদেশ   রোববার ০৮ জুন ২০২৫, ২৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

জকিগঞ্জের বিভিন্ন আশ্রয় কেন্দ্রে ঈদ কেটেছে ৪৮ পরিবারের

মোঃ এমদাদ হোসেন ভুঁইয়া, সিলেট 

প্রকাশিত: ১৭:৩৪, ৮ জুন ২০২৫

জকিগঞ্জের বিভিন্ন আশ্রয় কেন্দ্রে ঈদ কেটেছে ৪৮ পরিবারের

ছবি: জনকণ্ঠ

কয়েকদিনের টানা বর্ষণ ও উজানের ঢলে সিলেটের জকিগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন এলাকা এখনও পানিতে তলিয়ে রয়েছে। বন্যার পানি কমতে শুরু করলেও উপজেলার বারঠাকুরী ও খলাছড়া ইউনিয়নের বেশ কিছু এলাকা এখনও জলমগ্ন। বন্যাকবলিত ৪৮ পরিবারের ঈদ কেটেছে আশ্রয়কেন্দ্রে। এ অবস্থায় ঈদ আনন্দ নেই দুর্গত পরিবারগুলোতে। 

বন্যায় উপজেলার অন্তত ৪৪ গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এতে পানিবন্দি ছিলেন হাজার হাজার মানুষ। গত ১ জুন রাত থেকে কুশিয়ারা নদীর ডাইক ভেঙে বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। তিনদিন পর থেকে পানি নামতে শুরু করলেও অনেক বাড়িঘর এখনো ডুবে আছে। বন্যা আক্রান্তরা আশ্রয় নেন আশ্রয়কেন্দ্রে।

উপজেলার পশ্চিম লোহারমহল গ্রামের বাসিন্দা কামাল উদ্দিন বলেন, ‘৪৪ বছর বয়সে এই প্রথম বাড়ির বাইরে ঈদ করতে হলো। আমার ঘর এখনো পানির নিচে। স্ত্রী-সন্তান নিয়ে আশ্রয়কেন্দ্রে আছি। এমন ঈদ হবে, তা কখনো ভাবিনি।’

একই এলাকার আশ্রয়কেন্দ্রে থাকা আফিয়া বেগম বলেন, তাদের ৬ সদস্যের পরিবারে রোজগার মাত্র এক ব্যক্তি। এবারের বন্যায় তাদের বসতঘরের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। বন্যায় প্রবল স্রোতে ঘর হারিয়ে এখানে আশ্রয় নিয়েছেন তিনি। তাই ঈদে বাড়িতে যেতে পারেননি পরিবারের কেউই।

এদিকে, বন্যা আক্রান্তদের অভিযোগ, বন্যায় দীর্ঘস্থায়ী প্রভাবে পড়েছে এই অঞ্চলের মানুষের উপর। এতে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে সরকারি সহায়তা বিতরণ করা হলেও তা চাহিদার তুলনায় তা অপ্রতুল। 

জকিগঞ্জ উপজেলা প্রশাসনের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কন্ট্রোল রুমের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আতাউল হক জানান, ‘বারঠাকুরী ও খলাছড়া ইউনিয়নের ৪৮টি পরিবার আশ্রয়কেন্দ্রে ঈদ উদযাপন করেছে। আমরা সকালে তাদের খাবার পৌঁছে দিয়েছি এবং বরাদ্দ অনুযায়ী অন্যান্য সহায়তাও পৌঁছে দিচ্ছি।’

আবির

×