
ছবি: সংগৃহীত
রক্তের শর্করা নিয়ন্ত্রণ সকলের জন্য গুরুত্বপূর্ণ, বিশেষ করে যারা টাইপ ১ বা টাইপ ২ ডায়াবেটিসে ভুগছেন তাদের জন্য। কোনও এক ধরনের খাবার দ্রুত রক্তের শর্করা কমাতে পারে না, তবে সঠিক খাবারের সংমিশ্রণ এবং খাওয়ার সময় মনে রাখলে রক্তের গ্লুকোজ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য পাওয়া যায়।
খাবার হজমের সময় কার্বোহাইড্রেট গ্লুকোজে পরিণত হয়, যা রক্তে শর্করা বৃদ্ধি করে। এই গ্লুকোজ কোষে প্রবেশ করাতে ইনসুলিন হরমোন কাজ করে। তবে ব্যক্তিভেদে রক্তের শর্করা ওঠানামার মাত্রা ভিন্ন হয়, যা নির্ভর করে খাবারের গঠন, সময় এবং খাদ্যের ক্রমের ওপর।
সাদা চাল, সাদা রুটি মতো উচ্চ গ্লাইসেমিক সূচক যুক্ত খাবার রক্তের শর্করা দ্রুত বাড়ায়। তবে এগুলোকে প্রোটিন, ফাইবার বা স্বাস্থ্যকর চর্বির সঙ্গে মিশিয়ে খেলে রক্তের শর্করার দ্রুত ওঠানামা কমে যায়। যেমন সাদা চালের সঙ্গে ডাল খাওয়া বা সাদা রুটির সঙ্গে মাখন মাখানো বাদাম খাওয়া উপকারী।
রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণে সাহায্যকারী কিছু খাবার হলো:
-
ডাল-মসুর: ছোলা, মসুর, কালো মটর প্রভৃতি ডালে প্রোটিন ও ফাইবার থাকে, যা রক্তের শর্করা নিয়ন্ত্রণে সহায়ক।
-
বাদাম ও বাদামের মাখন: প্রোটিন এবং স্বাস্থ্যকর চর্বিতে সমৃদ্ধ, যা রক্তের শর্করা কমাতে সাহায্য করে। মাখনে অতিরিক্ত চিনি না থাকা ভালো।
-
সবজি: ব্রকলি, গাজর, ফুলকপি ইত্যাদি উচ্চ ফাইবারযুক্ত সবজি রক্তের শর্করা নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে।
-
বীজ: চিয়া, ফ্ল্যাক্স, কুমড়োর বীজ ফাইবার ও স্বাস্থ্যকর চর্বিতে ভরপুর, যা রক্তের শর্করা কমায়।
-
সম্পূর্ণ ফল: স্ট্রবেরি, আপেল, অ্যাভোকাডো, রেসপবেরি জাতীয় ফল রক্তের শর্করা নিয়ন্ত্রণে সহায়ক। তবে ফলের রস বেশি খেলে ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বাড়ে।
-
সম্পূর্ণ শস্য: ওটস, কুইনোয়া, ব্রাউন রাইস ইত্যাদি ধীরে হজম হয় এবং রক্তের শর্করা নিয়ন্ত্রণে ভালো কাজ করে।
রক্তের শর্করা নিয়ন্ত্রণে সময়ও গুরুত্বপূর্ণ। সাধারণত সকালের খাবারে রক্তের শর্করার নিয়ন্ত্রণ ভালো হয়। এছাড়া, কার্বোহাইড্রেটের আগে প্রোটিন বা চর্বি খেলে রক্তের শর্করার দ্রুত বৃদ্ধি রোধ হয়।
বিশেষ করে ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া অত্যন্ত জরুরি। ব্যক্তিগত স্বাস্থ্যগত তথ্যের ওপর ভিত্তি করে খাদ্য পরিকল্পনা করা উচিত।
আবির