
ছবি: সংগৃহীত
বাসি ভাত খাওয়ার পর অসুস্থ হওয়ার কথা শুনলে অনেকেই হয়তো অবাক হবেন। কিন্তু টিকটকে ছড়িয়ে পড়া “রি-হিটেড রাইস সিনড্রোম” বা বাসি ভাত খেয়ে অসুস্থ হওয়ার বিষয়টি এখন বিশেষজ্ঞরাও গুরুত্ব দিয়ে দেখছেন।
বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, ব্যাসিলাস সেরিয়াস নামে একটি ব্যাকটেরিয়া রান্নার পর ভাতের মধ্যে জীবিত থেকে যায় স্পোর আকারে। ভাত রান্নার পর যদি দীর্ঘ সময় বাইরে রাখা হয়, তবে এটি বিষাক্ত টক্সিন তৈরি করতে পারে। পুনরায় গরম করলেও ব্যাকটেরিয়ার টক্সিন নষ্ট হয় না, ফলে তা খেলে হতে পারে ভয়ানক ফুড পয়জনিং।
এই ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণে সাধারণত ৬ থেকে ১২ ঘণ্টার মধ্যে উপসর্গ দেখা দেয়—যেমন বমি, পেট ব্যথা, ডায়রিয়া ইত্যাদি। যদিও বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই সুস্থ হয়ে ওঠা সম্ভব, তবে গুরুতর উপসর্গ দেখা দিলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া প্রয়োজন।
শুধু ভাত নয়, পাস্তাও, আলু বা মাংস-গ্রেভির মতো অন্যান্য স্টার্চজাত খাবারেও এ ধরনের ব্যাকটেরিয়া জন্মাতে পারে, যদি তা যথাযথভাবে সংরক্ষণ না করা হয়।
কীভাবে নিরাপদ থাকবেন:
-
রান্না করা ভাত ২ ঘণ্টার বেশি বাইরে রাখবেন না।
-
বড় পাত্রে ভাত রেখে ঠান্ডা করার বদলে ছোট ছোট পাত্রে ভাগ করে ফ্রিজে রাখুন।
-
রাইস কুকারে “Keep Warm” মোডে রেখে খাচ্ছেন? নিশ্চিত হোন ভাতের তাপমাত্রা ১৫০ ডিগ্রির বেশি আছে।
-
৩ দিনের মধ্যেই বাসি ভাত খেয়ে শেষ করুন।
-
সন্দেহ হলে ভাত ফেলে দিন, খাওয়ার ঝুঁকি নেবেন না।
সংক্ষেপে বললে, বাসি ভাত খাওয়ার আগে একবার ভেবে দেখুন—সঠিকভাবে সংরক্ষণ না করলে আপনার সুস্থতা হুমকির মুখে পড়তে পারে।
আবির