
ছবিঃ সংগৃহীত
কোরবানির ঈদ মানেই গরু-খাসির বাহারি পদে সাজানো ভুরিভোজ। সুস্বাদু এই লাল মাংস অনেকেরই পছন্দের তালিকার শীর্ষে থাকলেও অতিরিক্ত খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য হতে পারে মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ। চিকিৎসকরা বলছেন, কোরবানির ঈদে স্বাভাবিক সময়ের তুলনায় গরুর মাংস খাওয়ার প্রবণতা বেড়ে যায়। তবে অতিরিক্ত গরুর মাংস শরীরে বিভিন্ন ধরনের জটিলতা সৃষ্টি করতে পারে।
গবেষণা অনুযায়ী, লাল মাংস বিশেষ করে গরু, খাসি বা প্রসেসড রেড মিট বেশি খেলে কোষ্ঠকাঠিন্যের ঝুঁকি বাড়ে। আর দীর্ঘদিন ধরে এই সমস্যা চলতে থাকলে পরবর্তীতে দেখা দিতে পারে কোলন ক্যান্সার। বিশেষ করে গরমকালে অতিরিক্ত রেড মিট হজমের সমস্যা তৈরি করে, ফলে পাকস্থলীতে চাপ পড়ে এবং শরীর অস্বস্তিতে ভোগে।
চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন,
“সপ্তাহে পাঁচ বেলার বেশি গরু, খাসি বা প্রসেসড মাংস খেলে কোলন ক্যান্সারের ঝুঁকি বেড়ে যায়। শুধু তাই নয়, অতিরিক্ত সোডিয়ামযুক্ত মাংস খাওয়ার কারণে বাড়তে পারে উচ্চ রক্তচাপ, যার প্রভাবে স্ট্রোক বা হৃদরোগ দেখা দিতে পারে।”
করণীয় কী?
🔸 চর্বিযুক্ত অংশ পরিহার করুন
চর্বিযুক্ত মাংস স্বাস্থ্যের জন্য সবসময়ই ক্ষতিকর। কোরবানির সময়ে এই দিকটি আরও বেশি খেয়াল রাখা দরকার।
🔸 সবজির সঙ্গে খাওয়ার পরামর্শ
গরুর মাংসের সঙ্গে প্রচুর পরিমাণে সবজি খাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন পুষ্টিবিদরা। টাটকা সবজি হজমশক্তি বাড়াতে সহায়তা করে এবং পাকস্থলীতে ভারসাম্য বজায় রাখে।
🔸 ব্যায়াম করুন, হাঁটুন
ঈদের দিনে অতিরিক্ত খাওয়ার পর হালকা হাঁটাহাঁটি বা ব্যায়াম করলে শরীর থেকে অতিরিক্ত ক্যালোরি ঝরানো যায়। এতে স্বাস্থ্যঝুঁকি কমে আসে।
🔸 পরিমিত খাবেন, অতিরিক্ত নয়
যতই রুচিকর লাগুক, গরুর মাংস খেতে হবে পরিমিত পরিমাণে। মনে রাখতে হবে, ঈদের আনন্দ যেন অসুস্থতায় রূপ না নেয়।
ইমরান