ঢাকা, বাংলাদেশ   রোববার ০৮ জুন ২০২৫, ২৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

স্টারলিংক ঘিরে নতুন যে আশার আলো ও বিতর্ক

প্রকাশিত: ১৬:২১, ৮ জুন ২০২৫; আপডেট: ১৬:২৪, ৮ জুন ২০২৫

স্টারলিংক ঘিরে নতুন যে আশার আলো ও বিতর্ক

বাংলাদেশে সম্প্রতি স্টারলিংক স্যাটেলাইট ইন্টারনেট চালু হওয়ার পর থেকেই সামাজিক মাধ্যমে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়েছে। কেউ কেউ এটি বাংলাদেশের ডিজিটাল বিপ্লবের এক নতুন দিগন্ত হিসেবে দেখছেন, কেউবা আবার এটিকে ভবিষ্যতের একটি সম্ভাব্য "নতুন ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি" হিসেবে আখ্যা দিচ্ছেন।

সামাজিক মাধ্যমে একজন উদ্যোক্তা লিখেছেন, “ঢাকা ছেড়ে গ্রামে চলে যাবো, কারণ স্টারলিংকের ইন্টারনেট থাকলে গ্রামেও ব্যবসা করা সম্ভব।” এই পোস্টের মাধ্যমে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে ইন্টারনেট সংযোগ ও উদ্যোক্তা বিকাশের সম্ভাবনা আরও স্পষ্ট হয়ে উঠেছে।

🔍 সরকারের ব্যতিক্রমী উদ্যোগ

বিডা চেয়ারম্যান আশিক চৌধুরী জানিয়েছেন, “স্টারলিংককে বাংলাদেশে কার্যক্রম শুরু করতে ফুল লাইসেন্স দিতে আমাদের মাত্র ছয় মাস লেগেছে, যেখানে তারা দুই বছর ধরে চেষ্টা করেও কিছুই করতে পারেনি।”

তিনি বলেন, এটি সরকারের একটি ব্যতিক্রমী সাফল্যের গল্প, যেখানে ICT মন্ত্রণালয়, বিটিআরসি, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়সহ একাধিক সংস্থা সমন্বয় করে দ্রুততার সঙ্গে কাজ করেছে।

💸 মূল্য ও বিতর্ক

বর্তমানে স্টারলিংকের একটি সংযোগ নিতে প্রায় ৪৭ হাজার টাকা খরচ হতে পারে বলে জানা গেছে। অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন, বাংলাদেশের সাধারণ মানুষের পক্ষে এটি কতটা সাধ্যসাধ্য?

এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “এটা একদমই একটি বাণিজ্যিক সিদ্ধান্ত। যেমন কেউ বিএমডব্লিউ কিনে, কেউ টয়োটা, কেউ পাবলিক ট্রান্সপোর্ট ব্যবহার করে—একইভাবে ইন্টারনেটও যার যার চাহিদা ও সক্ষমতা অনুযায়ী গ্রহণযোগ্য।”

তিনি আরও বলেন, “স্টারলিংক হয়তো সবচেয়ে ব্যয়বহুল অপশন, কিন্তু সম্ভবত এটিই সবচেয়ে মানসম্পন্নও। আমরা সরকারের পক্ষ থেকে মূলত জনগণের সামনে ‘ইনফিনিট চয়েস’ দেওয়ার জন্য কাজ করছি।”

📊 পলিসি ও আয়ের সম্ভাবনা

সরকার স্পষ্ট করেছে যে, স্টারলিংকের জন্য আলাদা করে কোনো বিশেষ সুবিধা দেওয়া হয়নি। এটি একটি নির্দিষ্ট রাজস্ব ভিত্তিক মডেলে পরিচালিত হচ্ছে যা ভবিষ্যতের অন্যান্য স্যাটেলাইট সংযোগকারী ব্যবসাগুলোর জন্যও প্রযোজ্য হবে।

স্টারলিংক নিয়ে বিতর্ক থাকলেও এটি যে বাংলাদেশে ইন্টারনেট বিপ্লবের নতুন একটি অধ্যায় শুরু করেছে, তা নিঃসন্দেহে বলা যায়।

আঁখি

×