
ছবি:সংগৃহীত
পবিত্র ঈদুল আযহায় পশু কোরবানির পর রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় গড়ে ওঠে অস্থায়ী ভ্রাম্যমাণ মাংসের বাজার। মূলত দরিদ্র ও নিম্নআয়ের মানুষদের মধ্যে বিতরণ করা কোরবানির মাংসের অতিরিক্ত অংশ দিয়েই চালু হয় এসব বাজার। দুপুরের মধ্যেই অধিকাংশ এলাকায় মাংস বিতরণ শেষ হয়ে গেলে, বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত জমে ওঠে এসব অস্থায়ী বাজার।
মালিবাগ, মহাখালী, খিলগাঁও, মিরপুরসহ রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় রাস্তার ধারে বসে পড়েন বিক্রেতারা। তারা জানান, বাসাবাড়ি থেকে সংগ্রহ করা মাংসের কিছু অংশ নিজেদের জন্য রেখে বাকি অংশ বিক্রি করছেন। কারণ, অনেকের ঘরে ফ্রিজ না থাকায় মাংস সংরক্ষণের সুযোগ নেই।
এক বিক্রেতা জানান, “৩০০ টাকার মাংস আছে, ৬০০ টাকার মাংসও আছে। মান অনুযায়ী দাম ওঠানামা করে।” এসব বাজারে কোরবানির মাংস প্রতি কেজি ২০০ টাকা থেকে ৭৫০ টাকা পর্যন্ত দরে বিক্রি হতে দেখা গেছে।
আরেক বিক্রেতা বলেন, “নিম্নবিত্ত মানুষেরা অনেক টাকা দিয়ে কিনতে পারে না। এখানে এসে অল্প টাকায় কিনে নিয়ে যায়।”
ক্রেতাদের মধ্যে ছিলেন সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে হোটেল ও রেঁস্তোরা ব্যবসায়ীরাও। অনেকেই জানান, কসাইয়ের দোকানে গিয়ে কিনতে বেশি খরচ পড়ে, তাই এ ধরনের বাজার থেকে তুলনামূলক কম দামে মাংস সংগ্রহ করা সম্ভব।
একজন ক্রেতা বলেন, “আমরা কোরবানি দিতে পারিনি। কারো দরজায় গিয়ে চাইতেও লজ্জা লাগে। এখান থেকে কম দামে কিনে খেতে পারছি, এতেই খুশি।”
এভাবে কোরবানির দিনে মানবিক সহানুভূতি এবং বাস্তবতার সম্মিলনে রাজধানীর অলিগলিতে তৈরি হয় এক ব্যতিক্রমধর্মী বাজারচিত্র।
আঁখি