
ছবিঃ দৈনিক জনকণ্ঠ
পটুয়াখালীর বাউফলে আগামী ১০ জুন আয়োজিত হতে যাচ্ছে উপজেলার সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ১ থেকে ৯ রোল নম্বর পর্যন্ত সিঙ্গেল ডিজিট শিক্ষার্থীদের ঐতিহাসিক গণসংবর্ধনা। অনুষ্ঠান ঘিরে উপজেলাজুড়ে শিক্ষার্থীদের মাঝে বইছে ব্যাপক আগ্রহ উদ্দীপনা। একইসাথে সফল প্রোগ্রাম বাস্তবায়নে দিনভর কর্মযজ্ঞ চালাচ্ছে ইসলামী ছাত্রশিবিরের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা।
গত ৫ জুন থেকে আজ (৮ জুন) রোববার পর্যন্ত দিনভর উপজেলার সাত হাজার শিক্ষার্থীদের উপহার প্যাকেজ প্রস্তুত করতে বাউফল বাংলাবাজারের শিবিরের কার্যালয়ে কাজ করছেন সংগঠনটির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা।
সরেজমিনে দেখা যায়, বাউফল সরাকারি কলেজ মাঠের ১০ জুনের ঐতিহাসিক গণসংবর্ধনাকে কেন্দ্র করে শিবিরের কর্মী, সমর্থক ও সাথীরা ব্যাপক কর্মযজ্ঞ চালাচ্ছেন। কেউ স্কুল ব্যাগের বড় বড় বান্ডিল থেকে তা বের করছেন। কেউ সেই ব্যাগে কলম, ক্যারিয়ার গাইডলাইনের বই ইত্যাদি প্যাকেজিংয়ের কাজে ব্যস্ততার সময় পার করছেন।
এছাড়া মেয়েদের জন্য থাকবে আকর্ষণীয় হিজাব। আর ছেলে শিক্ষার্থীদের জন্য থাকবে বিভিন্ন সাইজের টি শার্ট।
এ বিষয়ে কথা হয় সুলতানাবাদ ইসলামিয়া দাখিল মাদরাসার শিক্ষার্থী মো. আব্দুল্লাহ ও ধানধি কামিল মাদরাসা আলিমের শিক্ষার্থী শিবিরের সাথি মো. আবির (১৮) এর সাথে। তারা বলেন, ৫ম থেকে ১০ম শ্রেণীর এক থেকে তিন রোলধারীদের জন্য আমাদের উপহারের প্যাকেজ থাকবে। সেজন্য আমাদের কর্ম ব্যস্ততা চলছে। আমরা দিনরাত এককরে সফল প্রোগ্রাম বাস্তবায়ন করতে কাজ করে যাচ্ছি।
বিভিন্ন আইটেমের গিফট ব্যাগে ঢুকানোর কাজ করতে থাকা এসএসসি ফলপ্রত্যাশি মো. আবু তাহের (১৭) বলেন, আমরা সকল গিফটগুলো এককরে যেমন ক্যারিয়ার গাইডলাইনমূলক বই, ইসলামী সাহিত্য, নোটপ্যাড কলমসহ অন্যান্য উপহার সামগ্রী স্কুল ব্যাগের ভেতরে ঢুকিয়ে আবার তা চেক দিচ্ছি, যাতে কারো ব্যাগে কম গিফট না যায়।
বাউফল উপজেলা ছাত্রশিবিরের সভাপতি মো.লিমন হোসেন দৈনিক জনকণ্ঠ-কে বলেন, গত দুদিন যাবত সকাল ৯টা থেকে গভীর রতা পর্যন্ত প্রায় অর্ধশতাধিক ছাত্রশিবিরের জনশক্তি ১০ জুনের প্রোগ্রাম বাস্তাবায়নের জন্য দিনরাত এককরে কাজ করতেছেন। তারা পালাবদল করে অর্থাৎ শিডিউল পরিবর্তন করে কর্মযজ্ঞ চালাচ্ছেন।
এ বিষয়ে দৈনিক জনকণ্ঠ-কে ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ বলেন, ১০ জুনের ঐতিহাসিক গণসংবর্ধনা বাস্তবায়ন করতে উপজেলা ছাত্রশিবিরেরে পাশাপাশি জামায়াত ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরাও ব্যাপক পরিশ্রম করছেন। আমি সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। আশা করছি সকলের প্রচেষ্টায় আমাদের ১০ জুনের ঐতিহাসিক গণসংবর্ধনাটি সফল হবে ইনশাআল্লাহ।