
দৈনিক জনকণ্ঠ
রাজশাহীর বাগমারা উপজেলার কাছারি কোয়ালিপাড়া ইউনিয়নের লাকাটি বিলের ঠিক মাঝখানে অনেক ইতিহাসের সাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে আছে এক বিশালাকার বটবৃক্ষ। তবে কেউ বলতে পারে না এই বটবৃক্ষের বয়স কত। পুরোনো বটগাছটি দিব্যি দাঁড়িয়ে প্রমাণ করে আসছে প্রবীণতার কালের সাক্ষী হিসেবে।
এই বটগাছের নিচে গ্রামের চাষিরা বিশ্রাম নেন। কালের সাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে থাকা এই বট-পাইকর গাছটি যেন তাদেরই এক ভরসার জায়গা। প্রায় প্রতিদিনই গাছটি দেখতে দূরদূরান্ত থেকে আসে লোকজন। বেশ কয়েকবার ঝড়-তুফানে বটগাছটির ডালপালা ভাঙলেও প্রতিবারই আবারও স্বমহিমায় জেগে ওঠে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, বটগাছের মাঝে আবার হয়ে উঠে পাইকর গাছ। একসাথে অদ্ভুতভাবে দাঁড়িয়ে আছে গাছটি। এখন ডালপালা ও শেখর থেকে বিশাল বিশাল শিকড় মূল হয়ে একসঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে। আবার কিছুটা দূরত্বে ডালপালা থেকে অসংখ্য মূলের সৃষ্টি হয়েছে
। মূল বটগাছ থেকে শাখা-প্রশাখার বটগাছগুলো দিব্যি দাঁড়িয়ে রয়েছে। কমপক্ষে ২০ থেকে ২৫টি এমন শাখা মূল রয়েছে। পুরোনো এই বটগাছের ডালপালা বিশালাকৃতির। ডালপালাগুলো চারদিকে ছড়িয়ে বছরের পর বছর ছায়া দিচ্ছে।
স্থানীয় বাসিন্দা আব্দুস ছাত্তার জানান, এই গাছটি কীভাবে কবে কে লাগিয়েছে তা কেউ বলতে পারেনা তবে আমরা ছোটবেলা থেকেই দেখি এরকম। আমার বাপ দাদারাও এখানে বিশ্রাম নিতো। গাছটি অনেক ঐতিহাসিক তাই এটা দেখতে ভিড় জমায় অনেকে।
গাছটি দেখতে আসা পর্যটক ইয়াসির আরাফাত জানান, আমরা মাঝে মাঝেই আসি এই গাছের নিচে। ছবি তুলি, ভিডিও করি অনেক ভালো লাগে।
হ্যাপী