
ছবিঃ সংগৃহীত
গোল্ড এক্সপ্লোরারদের কল্পনার থেকেও অনেক বড়ো – বিজ্ঞানীরা আবিষ্কার করেছেন এমন এক বিশাল স্বর্নের খনি। বর্তমানে যা মানুষের নাগালের বাইরে। মাটির নিচে থাকা এই স্বর্ণের পরিমাণ পৃথিবীতে বিদ্যমান স্বর্ণের প্রায় ৯৯.৯৯৯% । তবে এটি সোজাসুজিভাবে আহরণ করা সম্ভব নয়, কারণ স্বর্ণটি মূলত পৃথিবীর (গলিত) কেন্দ্রীয় কোরে আটকে আছে।
মানব সভ্যতায় সোনার ভূমিকা
সোনা শুধু অলঙ্কার বা বিনিময়ের মাধ্যম নয়—সমৃদ্ধির প্রতীক, বহু সাম্রাজ্য গড়া ও পতনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে । এটি রাসায়নিকভাবে নিষ্ক্রিয়, শক্তিশালী, পরিবহণে সহজ ও বৈদ্যুতিক ও তাপ পরিবাহিতায় গুরুত্বপূর্ণ
কিভাবে এত সোনা পৃথিবীর কেন্দ্রে?
পৃথিবী সৃষ্টি হওয়ার সময়—৪.৫ বিলিয়ন বছর আগে—ভারী ফাটকাদের মতো সোনা মূলত লোহা-সহ থিতু হয় কোরে। এটিকে বলা যায় ‘সাইডারোফিলিক’ অর্থাৎ লোহার সাথে মিশতে পছন্দ করে । ফলে অবশিষ্ট ভূত্বকে রয়েছে মাত্র খনিজের সামান্য অংশ, বাকিটা কোরে আটকে আছে।
কিন্তু কীভাবে তা মাটির উপরে আসে?
জার্মানির গ্যোটিংন বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা হাওয়াইসহ সার্কুম- ওশেনিক অঞ্চলের আগ্নেয়পার্বতের আশেপাশে রুটেনিয়াম (Ru) আইসোটোপের উচ্চমাত্রা শনাক্ত করেছেন। এর ভিত্তিতে তারা বুঝতে পেরেছেন—সোনা ও একই প্রকার ধাতুকণিকা কোর থেকে ম্যান্টলের দিকে, তারপর আগ্নেয় প্রবাহের মাধ্যমে ক্রমশ উপরের দিকে সরে আসছে ।
তবে, তোড়া খনন এখনো অসম্ভব
যদিও কোর থেকে সোনা আসছে, তা মাপা অনেক বছর বা শতক ধরে যেতে পারে, এবং গভীরতার কারণে এই সোনার সরাসরি খনি খনন বর্তমানে অসম্ভব । অন্যদিকে, মহাকাশে খনিজ তল্লাশিতে বেশ আগ্রহ দেখা যাচ্ছে—যেমন অ্যাস্ট্রয়েড Psyche, যেখানে মজাগুলো ঘরে বসে তল্লাশিত হতে পারে।
পৃথিবীর স্বর্ণের বড় অংশ আজও ডান হাতের নাগালের বাইরে—কোরে আটকে আছে বছরের পর বছর ধরে। তবে প্রাকৃতিক পদার্থবিজ্ঞান ও ভৌত বিজ্ঞানের অগ্রগতির সাথে কোর থেকে স্বর্ণ আহরণ আর অবাস্তব নয়। অন্যদিকে, মহাকাশজাত এক্সট্রাকশন পদ্ধতিও গবেষণার আলোচনায় রয়েছে। ভূমির নিচে থাকা এ অভাবনীয় স্বর্ণখনি আমাদের জন্য ভবিষ্যতের প্রযুক্তি ও আশার প্রতীক হতে পারে।
পৃথী