
ছবিঃ সংগৃহীত
বিশ্বের খনিজ জগতে নতুন আলোড়ন তুলেছে আন্দেজ পর্বতমালার এক গোপন ধাতব খনি। চিলি ও আর্জেন্টিনার সীমান্তবর্তী অঞ্চলে অবস্থিত এই খনিজ ক্ষেত্রটি — ফিলো দেল সোল (Filo del Sol) — সম্প্রতি একটি হালনাগাদ রিসোর্স সমীক্ষার মাধ্যমে আলোচনায় আসে।
এই সমীক্ষা অনুযায়ী, সেখানে রয়েছে আনুমানিক ১.৩ কোটি টন তামা, ৩.২ কোটি আউন্স সোনা, এবং ৬৫.৯ কোটি আউন্স রুপা।
বিশেষজ্ঞদের মতে, এই সংখ্যা শুধু বিস্ময়করই নয়, বরং আন্দেজের বিশাল সম্ভাবনার ইঙ্গিতও দেয়।
লন্ডিন মাইনিং-এর (Lundin Mining) প্রধান নির্বাহী জ্যাক লন্ডিন একে গত ৩০ বছরের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ গ্রিনফিল্ড আবিষ্কার বলে উল্লেখ করেছেন। তাঁর প্রতিষ্ঠান ইতোমধ্যে অন্যান্য অংশীদারদের সঙ্গে মিলে এই প্রকল্পকে বৃহৎ পরিসরে বাস্তবায়নের প্রস্তুতি নিচ্ছে।
কঠিন চ্যালেঞ্জের মধ্যেও সম্ভাবনার আলো
যদিও স্থানটি খনিজ সমৃদ্ধ, এটি প্রায় ৫,০০০ মিটার (১৬,৪০০ ফুট) উচ্চতায় অবস্থিত, যা প্রকল্প বাস্তবায়নে বড় বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে।
এখানে কাজ করতে হলে চরম আবহাওয়া, অক্সিজেন স্বল্পতা, এবং উচ্চতার কারণে স্বাস্থ্যের ঝুঁকি বিবেচনায় নিয়ে আলাদা প্রশিক্ষণ ও চিকিৎসা সহায়তার প্রয়োজন হয়।
কেন এত গুরুত্ব পাচ্ছে ফিলো দেল সোল?
আন্দেজ পর্বতমালার অনেক জায়গা আগে “অপ্রবেশযোগ্য” বা “অপারগ” বলে বিবেচিত হলেও,
❖ আধুনিক প্রযুক্তি
❖ মূল্যবান ধাতুর চাহিদা
❖ ও উচ্চতর বাজার মূল্য এখন এই অঞ্চলে খননকে লাভজনক করে তুলছে।
বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, বর্তমান বৈশ্বিক বাজারে তামা, সোনা ও রুপার চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় এই ধরনের জটিল ও ব্যয়বহুল প্রকল্পগুলোকেও এখন অনেকেই বিনিয়োগযোগ্য হিসেবে দেখছেন।
তবে সমালোচকরা সতর্ক করে বলছেন, “প্রযুক্তিগতভাবে যদি কিছু করা সম্ভব হয়, তবুও তা নিরাপদ বা পরিবেশবান্ধব কি না, সেটাই মূল প্রশ্ন।”
উপসংহার:
এই আবিষ্কার শুধু খনিজ খাতের জন্যই নয়, দক্ষিণ আমেরিকার অর্থনীতি এবং বিশ্ববাজারের জন্যও একটি সম্ভাবনাময় মাইলফলক হয়ে উঠতে পারে। তবে প্রকল্প বাস্তবায়নে সফলতা পেতে হলে পরিবেশ, স্বাস্থ্য এবং স্থানীয় জনজীবনের ওপর প্রভাব বিবেচনায় রেখে এগোতে হবে—এমন মতেই একমত বিশ্লেষকরা।
ইমরান