
ঈদুল আযহার শুভক্ষণে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান এবং নৌবাহিনী প্রধান অ্যাডমিরাল এম নজমুল হাসান জাতীয় সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনুসের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন।
এই সাক্ষাৎটি এমন এক সময়ে অনুষ্ঠিত হলো যখন গতকাল প্রধান উপদেষ্টা ঘোষণা দিয়েছেন আগামী বছরের এপ্রিলের প্রথমার্ধে দেশে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
সাক্ষাৎকালে সেনা ও নৌ বাহিনী প্রধান তাদের পত্নীদের সঙ্গে একত্রে রাজশাহী স্টেট গেস্ট হাউজ জয়নুমায় উপস্থিত ছিলেন বলে প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার জানান।
ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় এবং পারস্পরিক শুভকামনা জানানো এই সাক্ষাতকে সৌজন্য সাক্ষাৎ হিসেবে বর্ণনা করা হলেও, বিশেষ করে সেনাবাহিনী প্রধানের ‘ডিসেম্বরে নির্বাচন হওয়া উচিত’ মন্তব্যের পর এটি রাজনৈতিক গুরুত্ব পাচ্ছে।
বাংলাদেশ সেনাবাহিনী একটি পোস্টে বলেছে, “পবিত্র ঈদুল আযহার উপলক্ষে সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান ও তাঁর পত্নী জাতীয় সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনুসের সাথে স্টেট গেস্ট হাউস জয়নুমায় সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। এসময় ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় ও পারস্পরিক সুস্থতা কামনা করা হয়।”
অন্যদিকে, প্রধান বিরোধী দল বিএনপি পুনরায় স্পষ্ট করেছে যে, তারা ডিসেম্বরেই নির্বাচন চায় এবং এপ্রিল মাস নির্বাচনের জন্য উপযুক্ত নয়।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, “দেশের জাতীয় নির্বাচনের জন্য এপ্রিল সময়টা উপযুক্ত নয়। ডিসেম্বরেই নির্বাচন করানো সম্ভব এবং সেটাই দেশের জন্য শ্রেষ্ঠ হবে।”
অন্যদিকে, অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনুসকে সমালোচকরা রাজনৈতিক অধিকার ছাড়াই ক্ষমতা ধরে রাখতে চাওয়ার অভিযোগে অভিযুক্ত করেছেন।
আগে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ডিসেম্বর ২০২৫ থেকে জুন ২০২৬ পর্যন্ত ধোঁয়াশাপূর্ণ সময়সীমা ঘোষণা করেছিল। শুক্রবার জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণে প্রধান উপদেষ্টা জানিয়েছেন আগামী বছরের এপ্রিলের প্রথমার্ধে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে, যা তাকে আনুষ্ঠানিকভাবে আর এক বছর ক্ষমতায় থাকার সুযোগ দেয়।
Jahan