
ছবিঃ সংগৃহীত
যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক বিজনেস ইনসাইডার-এ প্রকাশিত এক সাক্ষাৎকারে গুগল ও ফেসবুকের সাবেক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জেনিফার ডুলস্কি আগামী প্রজন্মের চাকরিপ্রার্থীদের প্রতি অনৈতিহাসিক (নন-টেকনিক্যাল) পাঁচটি দক্ষতাকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
পরিবর্তনের সাথে মানিয়ে নেওয়া (Adaptability)
টেক দুনিয়ায় রি-অর্গানাইজেশন, নতুন প্রযুক্তি ও বাজার-নীতির বদল স্বাভাবিক; খাপ খাইয়ে নিতে না পারলে পেছিয়ে পড়তে হবে।
দ্রুত শেখার ক্ষমতা (Learning Agility)
এআই-সহ নতুন প্রযুক্তি রপ্ত করতে ধীর হলে সম্ভাবনা হাতছাড়া; বিনা নির্দেশেই নিজে থেকে শেখা জরুরি।
সম্পর্ক গড়া (Relationship-Building)
সহকর্মীদের সঙ্গে মানবিক সম্পর্ক বদলের সময় ভরসা ও সমর্থন জোগায়; অভ্যন্তরীণ নেটওয়ার্ক বাড়ায়।
উদ্যোগী হওয়া (Initiative)
‘হ্যান্ড-রেইজার’ হিসেবে সমস্যা দেখলেই সমাধানে ঝাঁপিয়ে পড়া দ্রুত দায়িত্ব ও পদোন্নতি এনে দেয়।
আবেগীয় বুদ্ধিমত্তা (Emotional Intelligence)
দলে নেতৃত্ব, সহমর্মিতা ও সংঘর্ষ-সমাধানে অপরিহার্য; অন্য সব সফট-স্কিলের ভিত্তি।
‘হার্ড স্কিল’ কেন দ্বিতীয় সারিতে?
ডুলস্কির ভাষায়, কোডিং বা বিশেষ কোনো টুলের দক্ষতা ‘চেকবক্স’—আজ প্রয়োজন, কাল অচল। কিন্তু সফট-স্কিল সময়ের সঙ্গে আরও দৃঢ় হয় এবং যে কোনো বিভাগের কাজ সামাল দিতে সহায়তা করে। তিনি বলেন, “এক সময় আমি মার্কেটিং করেছি, পরে কমার্স, মার্কেটপ্লেস, সোশ্যাল ইমপ্যাক্ট—সব ক্ষেত্রেই এসব মানবিক দক্ষতাই আমাকে টেনেছে।”
তরুণদের জন্য পরামর্শ
নিজের শেখা নিজেকেই চালিয়ে যেতে হবে—কোম্পানি প্রশিক্ষণ দেবে কি না, তা দেখে বসে থাকবেন না।
সৃজনশীল আইডিয়া নিয়ে এগিয়ে যান—ছোট পদে থেকেও সমস্যা শনাক্ত করে সমাধানের প্রস্তাব দিন।
সহকর্মী-প্রধান নেটওয়ার্ক গড়ুন—ইঞ্জিনিয়ার বা অন্য যে-কোনো টিমের মানুষের সঙ্গে আগ্রহী হয়ে মিশুন।
ডুলস্কি মনে করেন, আগামী দিনে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা যতই বিস্তৃত হোক, মানুষের মানিয়ে নেওয়ার ক্ষমতা, দ্রুত শেখা, আন্তঃব্যক্তিক সম্পর্ক ও নেতৃত্বের গুণ—এই মানবিক শক্তিই পেশাজীবীদের স্বাতন্ত্র্য দেবে।
প্রযুক্তি-ক্ষেত্রে ক্যারিয়ার ত্বরান্বিত করতে চাইলে শুধু কোড শেখা নয়, আগে গড়ে তুলুন মানিয়ে নেওয়ার ক্ষমতা, শেখার ক্ষুধা, সম্পর্ক, উদ্যোগ ও আবেগীয় বুদ্ধিমত্তা—সফলতার মূলমন্ত্র এখানেই।
সূত্রঃ businessinsider.com
নোভা