
ছবি: সংগৃহীত
সম্পর্কে ঈর্ষা একটি স্বাভাবিক অনুভূতি হলেও, এটি মাত্রা ছাড়ালে বিষাক্ত হয়ে উঠতে পারে। অল্প ঈর্ষা হয়তো সম্পর্কের টান বাড়াতে পারে, কিন্তু যখন এই অনুভূতি নিয়ন্ত্রণ হারায়, তখন এটি সম্পর্কের ভরসা, সম্মান এবং মানসিক স্বাস্থ্যের উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। তাই আগে থেকেই কিছু সতর্ক সংকেত চিনে নেওয়া জরুরি।
নিচে এমন কিছু লক্ষণ তুলে ধরা হলো যা সম্পর্কের মধ্যে ঈর্ষা বিষাক্ত হয়ে উঠছে কিনা তা বুঝতে সাহায্য করবে—
১. প্রমাণ ছাড়াই প্রতারণার অভিযোগ:
আপনার সঙ্গী যদি প্রমাণ ছাড়াই বারবার আপনাকে প্রতারণার অভিযোগে অভিযুক্ত করে, তাহলে এটি একটি বড় সতর্ক সংকেত। এই আচরণে সম্পর্কের ভরসা নষ্ট হয় এবং একটি সন্দেহজনক পরিবেশ তৈরি হয়।
২. চলাফেরার উপর অতিরিক্ত নিয়ন্ত্রণ:
আপনি কোথায় যাচ্ছেন, কার সঙ্গে দেখা করছেন — এসব প্রশ্নের জবাব দিতে যদি প্রতিনিয়ত চাপ থাকে, বুঝতে হবে আপনার সঙ্গীর ঈর্ষা নিয়ন্ত্রণ হারাচ্ছে। মাঝে মাঝে খোঁজ নেওয়া স্বাভাবিক, কিন্তু ক্রমাগত নজরদারি ভালোবাসা নয়, বরং মানসিক নিপীড়ন।
৩. আপনাকে পরিবার ও বন্ধুদের থেকে আলাদা করে ফেলা:
আপনার সঙ্গী যদি বারবার পরিবার বা বন্ধুদের সঙ্গে দেখা করতে মানা করেন বা আপনার সামাজিক জীবনকে নিয়ন্ত্রণ করতে চান, তবে বুঝবেন তারা আপনাকে নিয়ন্ত্রণ করতে চাইছেন ঈর্ষার বশে।
৪. ছোট ঘটনায় অতিরিক্ত আবেগীয় প্রতিক্রিয়া:
কোনো বন্ধুর সঙ্গে কথা বলা বা একটি সাধারণ বার্তা পাওয়াতেই যদি সঙ্গী ক্ষিপ্ত হয়ে যান, তবে এটা একধরনের বিষাক্ত প্রতিক্রিয়া। স্বাস্থ্যকর সম্পর্ক এমন ছোট বিষয়কে গুরুত্ব দেয় না।
৫. ব্যক্তিগত গোপনীয়তায় হস্তক্ষেপ:
আপনার ফোন, মেসেজ বা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে গোপনে নজরদারি করলে বুঝতে হবে, এটা বিশ্বাসের ঘাটতির স্পষ্ট প্রকাশ। একটি সম্পর্কের জন্য স্বচ্ছতা গুরুত্বপূর্ণ, কিন্তু গোপনীয়তার সীমা লঙ্ঘন করা অগ্রহণযোগ্য।
এইসব লক্ষণ প্রথম দিকে চিনে নিতে পারলে বড় কোনো মানসিক বা সম্পর্কগত ক্ষতি এড়ানো সম্ভব। প্রয়োজনে খোলামেলা কথা বলুন অথবা পেশাদার কাউন্সেলিংয়ের দ্বারস্থ হন। সম্পর্ক টিকিয়ে রাখার জন্য ভরসা, সম্মান এবং যোগাযোগ অপরিহার্য।
মুমু