
ছবি: দৈনিক জনকন্ঠ।
সকাল থেকেই গুড়ি গুড়ি বৃষ্টিতে ভিজছে রাজধানী ঢাকা। প্রকৃতির এই কোমল স্পর্শে একদিকে যেমন তাপপ্রবাহের ক্লান্তি থেকে স্বস্তি মিলেছে, অন্যদিকে ভোগান্তিতে পড়েছেন অফিসগামী ও শিক্ষার্থীরা। বৃষ্টির কারণে বিভিন্ন সড়কে সৃষ্টি হয়েছে জলাবদ্ধতা। ধীরে ধীরে চলছে যানচলাচল আবারও কোথাও কোথাও হেঁটে যাওয়া ছাড়া উপায় নেই। তবে, হেঁটে গেলেও কিছু জায়গায় জলাবদ্ধতা ভোগান্তিতে ফেলছে পথচারীদের।
বৃহস্পতিবার (২৯ মে) আজিমপুর, নিউমার্কেট, সাইন্সল্যাব,শাহবাগ, ধানমন্ডি, মোহাম্মদপুরসহ বেশ কয়েকটি এলাকায় রাস্তায় পানি জমে যান চলাচলে বিঘ্ন ঘটায়। এতে সকাল ৮টা থেকে ১০টা পর্যন্ত অফিস টাইমে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়।
সকাল থেকে শুরু হওয়া হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাত শুধু যানজটে নয় এর ফলে বাড়তি ভোগান্তি যুক্ত করেছে অফিসগামী মানুষদের। বৃষ্টির জন্য কোথাও কোথাও বাস দাঁড়াতেও পারছে না আবার রিকশা-সিএনজিতেও পড়েছে ভাটা। দেখা মিললেও গুনতে হচ্ছে অতিরিক্ত ভাড়া। উপায় না পেয়ে তাতেই ছুটছেন মানুষজন।
আলতাফ হোসেন নামের একজন পথচারী জানান, “ছাতা নিয়েও শান্তিতে হাঁটা যাচ্ছে না। রাস্তায় পানি, আবার কোথাও কোথাও কাদার কারণে পা পিছলে যাচ্ছে।”
রাবেয়া বেগম একজন কর্মজীবী নারী বলেন, “প্রতিদিন অফিস যেতে ৩০ মিনিট লাগে, কিন্তু আজ ২ ঘণ্টা লেগেছে। রাস্তায় এত পানি, বাস দাঁড়াতে পারে না, আবার রিকশাও নিতে চায় না।”
ভাড়া বেশি নেওয়া প্রসঙ্গে রিকশাচালক মো. ফারুক বলেন, মামা এখন ভাড়া কম হয় রোডে গাড়ি বেশি তাছাড়া বৃষ্টি হলে রিকশা চালাতে কষ্ট হয় তাই ১০-২৯ টাকা বেশি রাখি।
ডিএমপি ট্র্যাফিক বিভাগ সূত্রে জানা যায়, সকাল ৮টা থেকে ১১টা পর্যন্ত রাজধানীর প্রধান সড়কগুলোতে যানজটের হার ছিল স্বাভাবিক সময়ের দ্বিগুণ।
প্রসঙ্গত, আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি হওয়া সুস্পষ্ট লঘুচাপটি নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। আর এর প্রভাবেই এই বৃষ্টি। দেশের বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টি আজ থাকতে পারে সারা দিন। আগামীকালও বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। দেশের চার বিভাগেই বর্ষণের সতর্কবার্তা ইতোমধ্যেই দিয়ে রেখেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। ইতিমধ্যে দেশের চার সমুদ্রবন্দরকে ৩ নম্বর সতর্কসংকেত জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।
মিরাজ খান