ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৮ মে ২০২৫, ১৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

রাতে না ঘুমিয়ে রিলস দেখা? জানুন এর ভয়ংকর পরিণতি

প্রকাশিত: ২২:৫০, ২৬ মে ২০২৫

রাতে না ঘুমিয়ে রিলস দেখা? জানুন এর ভয়ংকর পরিণতি

রাত যত গভীর হয়, আমাদের চোখ তত বেশি আটকে পড়ে মোবাইল স্ক্রিনে। সোশ্যাল মিডিয়ায় রিলস দেখার অভ্যাস এখন এতটাই প্রকট যে, ঘুমের সময়ও মানুষ স্ক্রল করতে করতে রাত পার করে দেয়। কিন্তু আপনি কি জানেন, এই অভ্যাস আপনার শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য কতটা ভয়ংকর হতে পারে?

📱 স্ক্রিনটাইম বেড়ে গেলে কী হয়?

রাত জেগে রিলস দেখা মানে ঘুমের সময় কেটে যাচ্ছে মোবাইলের আলোয়। মোবাইলের ব্লু লাইট (Blue Light) মেলাটোনিন হরমোন নিঃসরণ কমিয়ে দেয়, যা ঘুমানোর সংকেত দেয় মস্তিষ্ককে। ফলে ঘুম আসতে দেরি হয় এবং ঘুম গভীর হয় না।

😴 ঘুমের ঘাটতি মানেই শরীরের বিপর্যয়

ঘুম কম হলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়, মনোযোগে ঘাটতি আসে এবং দীর্ঘমেয়াদে হতাশা ও উদ্বেগের মতো মানসিক সমস্যার সম্ভাবনা বাড়ে। গবেষণায় দেখা গেছে, নিয়মিত ৬ ঘণ্টার কম ঘুম মানুষকে হৃদরোগ, স্থূলতা এবং টাইপ-২ ডায়াবেটিসের ঝুঁকিতে ফেলে।

🧠 মস্তিষ্কে চাপ, স্মৃতিশক্তি দুর্বল

রাত জেগে রিলস দেখার ফলে মস্তিষ্ক পর্যাপ্ত বিশ্রাম পায় না। ফলে দিনভর ক্লান্তি, মেজাজ খারাপ ও স্মৃতিশক্তি দুর্বল হয়ে পড়ে। অনেক ক্ষেত্রে এই অভ্যাস শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার উপরও নেতিবাচক প্রভাব ফেলে।

😵 আসক্তি তৈরি হয় কীভাবে?

রিলস বা শর্ট ভিডিও আমাদের ডোপামিন রিলিজ বাড়িয়ে তাৎক্ষণিক আনন্দ দেয়। কিন্তু দীর্ঘসময় ধরে এটি দেখলে মস্তিষ্ক ধীরে ধীরে স্বাভাবিক আনন্দ বা উৎসাহের উৎস থেকে দূরে সরে যায় এবং শুধু শর্ট ভিডিওতেই আনন্দ খুঁজতে থাকে — যা এক ধরনের ডিজিটাল আসক্তি।

✅ কীভাবে এই অভ্যাস থেকে মুক্তি পাবেন?

  • রাতে নির্দিষ্ট সময়ের পর ফোন ব্যবহার বন্ধ করুন।

  • শোবার ঘরে ফোন না রাখার চেষ্টা করুন।

  • ঘুমানোর আগে বই পড়া বা হালকা গান শোনা বেছে নিতে পারেন।

  • স্ক্রিন টাইম মনিটরিং অ্যাপ ব্যবহার করে সময় নিয়ন্ত্রণ করুন।

  • প্রয়োজনে একজন বিশেষজ্ঞের সাহায্য নিন।

শেষ কথা:
রাত জেগে রিলস দেখা যতটা বিনোদনময় মনে হয়, বাস্তবে তা হতে পারে আপনার জীবনের জন্য একটি নীরব ধ্বংস। এখনই সাবধান না হলে, ভবিষ্যতে এর ফলাফল হতে পারে ভয়ংকর।

 

সায়মা

×