ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৮ মে ২০২৫, ১৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

তেলাপোকার দুধ নাকি গরুর—কোনটি বেশি শক্তিশালী?

প্রকাশিত: ২১:৫৯, ২৬ মে ২০২৫

তেলাপোকার দুধ নাকি গরুর—কোনটি বেশি শক্তিশালী?

ছবি : প্রতীকী

স্বাস্থ্য ও পুষ্টির জগতে ‘সুপারফুড’ শব্দটি আজকাল বেশ আলোচিত। নানা পুষ্টিগুণে ভরপুর খাবারগুলোকে এ তালিকায় রাখা হয়। শাকসবজি, বেরিজাতীয় ফল কিংবা বাদামের পর এবার চমক সৃষ্টি করেছে এক অপ্রত্যাশিত নাম—তেলাপোকার দুধ।

শুনতে অদ্ভুত হলেও, বিজ্ঞানীরা বলছেন—তেলাপোকার দুধ গরুর দুধের চেয়েও বহুগুণ বেশি পুষ্টিকর। বিশেষ এক প্রজাতির তেলাপোকা—প্যাসিফিক বিটল ককরোচ (Diploptera punctata) তার বাচ্চাদের পুষ্টি দিতে যে দুধজাত তরল তৈরি করে, তাতে এমন পুষ্টি উপাদান রয়েছে যা একে বিশ্বের অন্যতম শক্তিশালী প্রাকৃতিক খাদ্য করে তুলেছে।

২০১৬ সালে জার্নাল অব দ্য ইন্টারন্যাশনাল ইউনিয়ন অব ক্রিস্টালোগ্রাফি-তে প্রকাশিত গবেষণায় জানা যায়, তেলাপোকার দুধের এই স্ফটিকজাত অংশে রয়েছে উচ্চমাত্রার প্রোটিন, চর্বি, অ্যামিনো অ্যাসিড এবং চিনি। শুধু তা-ই নয়, গবেষণায় দেখা গেছে, এই দুধে এক লিটার মহিষের দুধের চেয়েও তিন গুণ বেশি ক্যালোরি রয়েছে। অথচ মহিষের দুধকেই একসময় সবচেয়ে বেশি ক্যালোরিযুক্ত স্তন্যপায়ী প্রাণীর দুধ হিসেবে ধরা হতো।

গরুর দুধ বনাম তেলাপোকার দুধ

গরুর দুধকে পুষ্টির ভাণ্ডার বলা হলেও, তেলাপোকার দুধের গুণাগুণ তুলনামূলকভাবে আরও বেশি শক্তিশালী বলেই প্রমাণ দিচ্ছে গবেষণা। যেখানে গরুর দুধে প্রোটিন ও ক্যালসিয়াম প্রধান উপাদান হিসেবে রয়েছে, তেলাপোকার দুধে রয়েছে অতিরিক্ত অ্যামিনো অ্যাসিড ও সহজে শোষণযোগ্য চিনি, যা মানবদেহের কোষ মেরামত ও বৃদ্ধির জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

তেলাপোকার দুধে চমৎকার পুষ্টিগুণ থাকলেও, এটি এখনো মানুষের জন্য সহজলভ্য নয়। মূল বাধা হচ্ছে এর উৎপাদন প্রক্রিয়া, কারণ প্রতিটি তেলাপোকা থেকে দুধ সংগ্রহ করা অত্যন্ত সময়সাপেক্ষ এবং শ্রমনির্ভর কাজ।

সানজানা

×