ছবি: সংগৃহীত।
ব্রণ একটি সাধারণ কিন্তু জটিল ত্বকের সমস্যা। বিশেষ করে কিশোর-কিশোরী থেকে শুরু করে অনেক প্রাপ্তবয়স্কও এই সমস্যায় ভুগে থাকেন। চিকিৎসকদের মতে, হরমোনজনিত পরিবর্তন, অতিরিক্ত তেলাক্ত ত্বক, ধুলাবালি, মানসিক চাপ, অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাসসহ বিভিন্ন কারণে ব্রণ দেখা দিতে পারে।
স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, ব্রণ হলে কিছু গুরুত্বপূর্ণ নিয়ম মেনে চললে এর প্রকোপ অনেকটাই কমানো সম্ভব। বরং ভুল পদ্ধতিতে চিকিৎসা করলে ত্বকে দাগ, ইনফেকশন ও স্থায়ী ক্ষতি হতে পারে।
ব্রণ হলে যা করা উচিত নয়:
অধিকাংশ ক্ষেত্রে ব্রণ ফাটালে ইনফেকশন ছড়াতে পারে এবং ত্বকে স্থায়ী দাগ সৃষ্টি হয়।
বিশেষজ্ঞরা বলেন, রোগীরা না বুঝে ব্রণ খুঁটিয়ে ফেলে যা পরবর্তীতে ত্বকে গভীর কালো দাগ ও গর্তের সৃষ্টি করে।
বাজারে থাকা নানা ধরনের ব্রণ নিরাময় ক্রিম বা প্রসাধনী ত্বকের অবস্থা আরও খারাপ করতে পারে। চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া এসব ব্যবহার থেকে বিরত থাকার পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
দিনে অনেকবার মুখে হাত দেওয়া ত্বকে জীবাণু ছড়াতে সাহায্য করে। ফলে ব্রণ আরও বেড়ে যেতে পারে।
ব্রণ হলে যা করা উচিত:
ব্রণ দীর্ঘস্থায়ী হলে বা ঘন ঘন হলে একজন চর্মরোগ বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া জরুরি। অনেক সময় হরমোনগত কারণ, পলিসিস্টিক ওভারি সিনড্রোম (PCOS) কিংবা ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণ এর পেছনে দায়ী থাকতে পারে।
দিনে দুইবার হালকা ফেসওয়াশ দিয়ে মুখ পরিষ্কার করা উচিত। অতিরিক্ত সাবান বা স্ক্রাব ব্যবহার না করাই ভালো।
অতিরিক্ত চর্বি ও চিনি জাতীয় খাবার পরিহার করে বেশি পানি পান ও ফলমূল গ্রহণ করলে ত্বকে পজিটিভ প্রভাব পড়ে। চিকিৎসকরা বিশেষ করে দুধ ও দুগ্ধজাত খাদ্য কম খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন।
তেল জাতীয় হেয়ার প্রোডাক্ট বা হেভি মেকআপ ত্বকে ব্রণ বাড়াতে পারে। ব্যবহার শেষে ভালোভাবে পরিষ্কার করা জরুরি।
চিকিৎসকের পাশাপাশি কিছু ঘরোয়া পদ্ধতিও সাময়িক স্বস্তি দিতে পারে, যেমন: ঠান্ডা পানি দিয়ে বারবার মুখ ধোয়া, প্রাকৃতিক উপাদান যেমন অ্যালোভেরা জেল, মধু বা চন্দন পাতলা করে লাগানো, ডিটারজেন্ট বা সাদা সাবান ব্যবহার না করে মেডিকেটেড ফেসওয়াশ ব্যবহার।
চিকিৎসকরা মনে করেন, ব্রণ হোক বা অন্য যেকোনো ত্বকের সমস্যা-আত্মচিকিৎসা নয়, বরং পেশাদার চিকিৎসার মাধ্যমেই সঠিক সমাধান সম্ভব। সচেতন হোন, ত্বকের যত্ন নিন।
মিরাজ খান
