
ছবি: সংগৃহীত
বিশ্ব উচ্চ রক্তচাপ দিবস ২০২৫ উপলক্ষে স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ জানালেন, হরমোনজনিত রোগ পলিসিস্টিক ওভারি সিনড্রোম (পিসিওএস) ও উচ্চ রক্তচাপের মধ্যে রয়েছে এক অজানা সম্পর্ক।
পলিসিস্টিক ওভারি সিনড্রোম (পিসিওএস) একটি সাধারণ হরমোনজনিত সমস্যা, যা অনেক তরুণী ও নারীর মধ্যে দেখা যায়। এটি সাধারণত অনিয়মিত মাসিক, ত্বকে ব্রণ, অতিরিক্ত লোম গজানো, সন্তান ধারণে জটিলতা ইত্যাদির সঙ্গে সম্পর্কিত। তবে এই সাধারণ উপসর্গের বাইরে পিসিওএস হৃদযন্ত্রকেও প্রভাবিত করতে পারে। আপনি কি জানেন, পিসিওএস উচ্চ রক্তচাপ বৃদ্ধির ঝুঁকি অনেকাংশেই বাড়িয়ে দিতে পারে?
১৭ মে পালিত বিশ্ব উচ্চ রক্তচাপ দিবস-এ এই বিষয়টিকে সামনে আনতে এক সাক্ষাৎকারে কথা বলেন গাইনোকোলজিস্ট ডা. দীপিকা আগারওয়াল, যিনি সিকে বিড়লা হাসপাতাল, গুরগাঁও-এর স্ত্রীরোগ ও প্রসূতিবিদ্যা বিভাগের পরিচালক।
ডা. দীপিকা আগারওয়াল বলেন, “আমি একজন গাইনোকোলজিস্ট হিসেবে প্রায়ই পিসিওএস-এ আক্রান্ত এমন নারীদের দেখি, যাদের অনিয়মিত মাসিক, ওজন বৃদ্ধি, ব্রণ বা বন্ধ্যত্বের সমস্যা থাকে। অধিকাংশ নারীই জানেন না যে, পিসিওএস শুধুমাত্র একটি হরমোন বা প্রজনন সংক্রান্ত রোগ নয়, এটি একটি মেটাবলিক (চক্রবিন্যাসজনিত) ব্যাধি, যার দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব হৃদরোগের ওপর পড়ে। পিসিওএস উচ্চ রক্তচাপ বা হাইপারটেনশনের ঝুঁকি অনেক বাড়িয়ে দেয়। এটি শুধুই প্রজনন সমস্যা নয়, বরং একটি সিস্টেমেটিক কন্ডিশন বা সার্বিক শারীরিক অবস্থা।"
বিশেষজ্ঞদের মতে, ওজন বৃদ্ধি, ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্স, অতিরিক্ত টেনশন এবং অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন-এইসবই পিসিওএস আক্রান্ত নারীদের মধ্যে উচ্চ রক্তচাপের প্রবণতা বাড়িয়ে দেয়। তাই পিসিওএস নিয়ন্ত্রণে রাখতে হলে নিয়মিত শরীরচর্চা, স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস এবং চিকিৎসকের পরামর্শে জীবনযাপন জরুরি।
বিশ্ব উচ্চ রক্তচাপ দিবসে এই গুরুত্বপূর্ণ সম্পর্কটি জানা ও সচেতনতা বৃদ্ধি করা সকল নারীর জন্যই অত্যন্ত প্রয়োজনীয়।
সূত্র: https://shorturl.at/5wE8U
মিরাজ খান